গল্প বা উপন্যাসে প্রেমিক-প্রেমিকার বয়স অনুমান করে নেয়া হয়---তারা মোটামুটি কুড়ি থেকে চল্লিশের মধ্যে হবে।সংবাদপত্রে যে খবরগুলো পড়ি, তা থেকে মনে হচ্ছে যে বয়ঃসন্ধির বয়স কমে আট-নয় বছর হয়ে গেছে মূলত খাদ্যবস্তুর রাসায়নিক প্রক্রিয়ায়।অর্থাৎ যৌনতার উন্মেষ ঘটছে আট-নয় বছর বয়সেই এবং তারা যৌনকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।অধিকাংশ ফাস্ট ফুডে এবং চাষবাসে যা রাসায়নিক প্রয়োগ করা হচ্ছে তাতে হরমোনে পরিবর্তন ঘটছে ওই কম বয়সেই। পারস্পরিক সম্পর্ক কেবল 'টাচ অ্যান্ড ফিল'-এ সীমাবদ্ধ থাকছেনা।মুম্বাইয়ের ওষুধের দোকানগুলোয় 'নাইট আফটার পিল' কিনছে আট-নয় বছর বয়সের মেয়েরা---যারা এখনও টিনএজার হয়নি---যারা 'প্রিটিন'।
গল্প-কাহিনীতে এই বয়সী ছেলে-মেয়েদের এখনও প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্র না দেয়ার কারণ, আমার মনে হয় যে লেখকরা সময়ের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না।
যাঁরা বয়স্ক, অর্থাৎ ষাট পেরিয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও পরিবর্তন এসেছে। বহু বিবাহবিচ্ছেদ ঘটছে মুম্বাইতে, এইজন্য যে সিনিয়র সিটিজেনরা আবার প্রেমে পড়ছেন বা যৌন সংসর্গে লিপ্ত হচ্ছেন। যাঁরা ধনী, এবং মুম্বাইতে এঁদের সংখ্যা কম নয়, সেই ধনী বয়স্কদের জন্য গজিয়ে উঠেছে বহু সংস্হা, যেগুলো বলিউডের ছোট অভিনেত্রী বা মডেল সরবরাহ করে। বয়স্ক মহিলারা কম বয়সী সঙ্গীর দিকে ঝুঁকছেন এবং এই কম বয়সী সঙ্গীদের বলা হচ্ছে 'টয়বয়'।ভারতের অন্যান্য শহরেও কি এই ধরণের পরিবর্তন ঘটছে না ?