শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৩

কবি সোনালী চক্রবর্তী, যাঁকে মাথা কেটে পাঠিয়েছিলুম

কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়

 ইনি আমার দাদামশায়, মায়ের বাবা, কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়

কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৭৭ - ১৯২৯) ব্রিটিশ ভারতের এক জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও স্যার রোনাল্ড রস-এর সহ-গবেষক ছিলেন। রোনাল্ড রস ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী হিসাবে অ্যানোফিলিস মশাকে চিহ্নিত করে ১৯০২ সালে নোবেল পুরস্কার পান। কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৯০৩ সালে সম্রাট সপ্তম এডোয়ার্ডের স্বর্ণপদক দ্বারা পুরস্কৃত করা হয়।

জন্ম ও পরিবার

কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা শহরের এন্টালি পাড়ায় মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পারিবারিক আদিনিবাস ছিল বর্তমান বাংলাদেশের যশোর জেলায়। মহারাজা প্রতাপাদিত্যের পতনের পর বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার বৈষ্ণব অধ্যুষিত তদানীন্তন পানিহাটি গ্রামে বসবাস আরম্ভ করেন। তাঁর পিতামহ দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এক জন খ্যাতনামা আয়ুর্বেদাচার্য এবং সাংখ্য দর্শনে পারঙ্গম ব্যক্তি ছিলেন। কিশোরীমোহনের বাবা ননীলাল চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ফার্সি ও সংস্কৃত ভাষার শিক্ষক।

শিক্ষা

পানিহাটিতে প্রাথমিক শিক্ষার পর কিশোরীমোহনকে কলকাতার মাতুলালয়ে ইংরেজি স্কুলে পড়ার জন্য পাঠানো হয়। স্কুলের প্রতিটি পরীক্ষায় তিনি ভালো ফলাফল করতেন। মাতুলালয় থেকেই তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে বিজ্ঞানের স্নাতক হন। রোনাল্ড রস তাঁর পরীক্ষার ফলাফল ও সমাজসেবামূলক কাজকর্মের অভিজ্ঞতার জন্য বহু ছাত্রের ইন্টারভিউ এবং হাতেনাতে গবেষণাগারে কাজ দেখার পর কিশোরীমোহনকে নির্বাচন করেছিলেন। পানিহাটি সংলগ্ন গ্রামাঞ্চল থেকে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের কিশোরীমোহন রোনাল্ড রসের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতেন। রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল কিশোরীমোহনের আয়ুর্বেদাচার্য ঠাকুরদার রোগী। কিশোরীমোহন নিজেও তাঁর নবলব্ধ বিজ্ঞানের শিক্ষা ও ঠাকুর্দার আয়ুর্বেদের ওষুধের সঙ্গে সামঞ্জস্য খোঁজার প্রয়াস করতেন এবং স্বদেশি ও বিদেশি ওষুধের এই মেলবন্ধনও তদানীন্তন ইউরোপীয় ডাক্তারদের তাঁর প্রতি আগ্রহান্বিত করেছিল ।

কর্মজীবন

ঠাকুর্দার সঙ্গে থাকার সময়ে যখন কিশোরীমোহন প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে ছিলেন তিনি আয়ুর্বেদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠছিলেন। গরিব ও দুঃস্থ রোগীদের অবস্থায় তিনি বিপন্ন বোধ করতেন। কলকাতায় যাওয়ার পর গরিব ছাত্রদের নিঃশুল্ক গৃহশিক্ষা দিতেন। বিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর তিনি রোনাল্ড রসের সঙ্গে মহানাদ ও কলকাতায় তাঁর সহ-গবেষক রূপে চাকরি করেছেন। রস স্বদেশে চলে যাওয়ার পর কিশোরীমোহন ম্যালেরিয়া রোগ সম্পর্কে বাংলার গ্রামে-গ্রামে প্রচারের কাজ নেন। সেই সূত্রে তাঁর বন্ধু বিধানচন্দ্র রায় তাঁকে স্বদেশি আন্দোলনে যুক্ত করে নেন এবং কিশোরীমোহন আন্দোলনকারীদের বার্তাবাহক হয়ে ওঠেন।

ম্যালেরিয়া-বিরোধী অভিযানে কিশোরীমোহন গ্রামাঞ্চলের দুঃস্থ গরিব চাষি তাঁতি জেলে কামার কুমোরদের আর্থিক অবস্থার প্রতিকার হিসাবে পানিহাটির কয়েক জন বাল্যবন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে স্থাপন করেন পানিহাটি কোঅপারেটিভ ব্যাংক। তিনি বিশেষ করে তাঁতিদের সম্পর্কে চিন্তিত ছিলেন। বিলাত থেকে মিলে তৈরি কাপড় আসার পর তাঁতিদের প্রায় ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিলে তৈরি কাপড়ের মশারি হয় না বলে গরিবদের পরিবারে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে অত্যন্ত চিন্তিত ছিলেন তিনি। অত্যাধিক কর্মকাণ্ডের দরুণ তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে এবং ১৯২৯ সালে তিনি ম্যানেনজাইটিস রোগে মারা যান।

সম্মাননা

রোনাল্ড রস নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের এক প্রতিনিধিদল উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর নেতৃত্বে লর্ড কার্জনের সঙ্গে দেখা করে কিশোরীমোহনকেও আবিষ্কারের জন্য সম্মানিত করার অনুরোধ জানান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু, ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, শিবনাথ শাস্ত্রী, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রফুল্লচন্দ্র রায়। লর্ড কার্জন বিষয়টি ব্রিটিশ সরকারের গোচরে আনলে দিল্লি দরবারের সময়ে দিল্লিতে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ১৯০৩ সালে ডিউক অফ কনট কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ডের স্বর্ণপদক তুলে দেন।

সূত্র : বিশ্বের সেরা ১০১ বিজ্ঞানীর জীবনী, আ. ন. ম. মিজানুর রহমান পাটওয়ারি, মিজান পাবলিশার্স, ঢাকা


সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৩

The Hungryalists : Book Review

 

Souradeep Roy reviews

The Hungryalists: The Poets Who Sparked a Revolution

 

by Maitreyee Bhattacharjee Chowdhury; 

Penguin India; Pages 187; Price: Rs 599

The Hungryalists  by Maitreyee Bhattcharjee Chowdhury is the first book in English on a generation of writers in the 1960s who called themselves the Hungryalists. They self-proclaimed themselves to be “anti-establishment”writers and wrote mostly in Bengali Some of their publications, which were bulletins, were also published in English and Hindi. In the “Epilogue”, Bhattacharjee acknowledges that the Hungry Generation never made a comeback in Bengali literature, but “recent years have seen a better understanding of the movement.” While interest in the poets has certainly piqued in recent years -- and this book is certainly a result of that--, readers will be left with more questions than answers after reading the book. One reason for the recent interest in the Hungralist is a renewed interest in the Beat

Generation. Allen Ginsberg met the poets when he visited India, but, unlike him, one of the Hungryalist writers, Malay Roychoudhury, was arrested and jailed for obscenity. Bhattacharjee relies on Ginsberg’s

India Journals  among other sources, but too much of singular attention in following Ginsberg’s journey in India – his fallout with his lover Peter

Orlovsky for instance – makes for unnecessary deviations. Midway through the book one wonders whose story is being told after all. But Bhattacharjee handles the two narratives deftly in the beginning which alternates between Malay Roychoudhury’s train ride to Calcutta in October 1962 and an exposition of Ginsberg’s visit to India in Bombay in February 1961. She convincingly imagines the anticipation Roychoudhury would have felt when he was visiting the big city for the first time as she sets the social and political context in which Ginsberg visited India. We are gripped by the narrative even as there is a

diversion. As the book moves along, the narrative meanders into two separate streams and her control over structure is seldom seen again.

Her choice of narration, as well as some of her claims, can more accurately be called a reimagining of the Hungry Generation movement. The reviewer would advise against reading the book as literary history, or even, as an introductory history to the Hungry Generation movement. The book, of course, does not claim to be an authoritative history but even as popular non-fiction, there are too many jumps in the narrative. The book, for instance, claims there was a rivalry between those who published the Hungryalist bulletins and the editors of another cult magazine, Krittibash . This does not mean that writers who published in one magazine didn’t publish in the other. Bhattacharjee correctly points this out. In page 64, we learn that an editorial by Sunil Gangopadhyay in Krittibash  had admonished the Hungry Generation movement. Bhattacharjee says that this was because of a letter Sandipan Chattopadhyay, another contemporary writer, wrote while declaiming the state of contemporary literature which named Sunil and other writers. After twenty pages, in page 84, we see an episode where Malay Roychoudhury and his brother Samir Roychoudhury, visit Sunil Gangopadhyay’s house. In Spite of the tensions between the Hungryalists and the Krittibas group, Malay Ray Choudhury’s first poetry collection was published by Krittibas Prakashani in 1963. Bhattacharjee reasons that this was because Samir was close to Sunil. But how can one explain why Malay’s book was brought out by the same publication that had publicly stated in an editorial that the Hungry Generation literature has no literary worth? Or why Sunil had testified for Malay Roychoudhury in court in the obscenity case? Finding reason in literary rivalries is difficult, and Bhattacharjee must be congratulated for her effort, but one wishes such questions are answered more pointedly. The Hungry Generation has often been labeled an-establishment group, but what constitutes the establishment often gets muddled in the course of the book. Bhattacharjee points out some biographical details: the bohemian lifestyle of the writers, their attempts at changing their upper caste food habits, the inclusion of dalit writers in their fold. Literature, however, primarily concerns itself with language, and we get the impression that it was the Hungryalists' use of language that offended the establishment. Early in the book, Buddhadev Bose is described as “Bengal’s premier literary figure”. Later on, we learn that Bose’s novel Raat Bhore Bishti  ( Rain Through the Night ) had also been censored. What happens when a novel by a “premier literary figure” also gets censored? How is he different from Malay Roychoudhury -- anti-establishment’s favourite child? Bhattacharjee does not attempt to probe these questions. Looking through some of the labels the Hungry Generation writers had proclaimed for themselves, and not taking them at face value, would have worked better for Bhattacharjee. The book, though, does have flashes of Bhattacharjee’s lyrical narration. Here is an example :“The winds would often howl while they were in Chaibasa, scream like a widow losing her hair.” Her inclusion of letters exchanged among the various people embroiled in the tumultuous period in this literary history, are the book’s best parts. The reviewer, however,  was particularly disappointed to see almost all the names in the Bengali script were misspelled: editing errors which could have easily been avoided.

রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৩

আসমা অধরার জন্য প্রেমের কবিতা

 

আসমা অধরার জন্য প্রেমের কবিতা



তুমি, নীলাকাশ, ধরাছোঁয়া থেকে বহুদূর

মলয় রায়চৌধুরী

তোমার শাদা-কালো ফোটোগ্রাফ, টের পাবার আগে, মন্দার পাহাড়ে

লুকিয়ে খাচ্ছিলুম, আঃ, আটকে গেল কন্ঠনভোচরে, নীল বিষ হয়ে ;

আমার দুই পা ধরে অসুরেরা আর দুই হাত ধরে দেবতারা,

কালসাপ ভেবে মন্হন করতে লাগলো অমৃতের লোভে ;

জানতো না ওরা, তুমি আছো আমার কন্ঠস্বরে অক্ষরে অভিধা ব্যকরণে

নীলকূট হয়ে প্রিয়তমা

তুমি তো নীলাকাশ তুমি তো ধরাছোঁয়া থেকে বহুদূর কবিতামানুষী

শাশ্বত চাউনিতে, অসহ্য যন্ত্রণায় ক্ষুধার্তের গ্রাসনালিকায়, আঃ,

দেখেছো তো দু’পক্ষই আতঙ্কিত এমনকী মূর্ছিত আমার মারণঘূর্ণনে,

তোমার শাদা-কালো ফোটোগ্রাফ, অষ্টাদশী, চুরি করে খেয়েছি যে–

পুরোটা ব্রহ্মাণ্ড, তীর্যক তাকিয়ে আছো, উদ্গীরণ নিতে ঠোঁট খোলো

আমার হাঁ-মুখে জিভ রেখে দ্যাখো সিংহাসনে তুমি বিশ্বরূপা স্বাদ নাREPORT THIS AD

বিষরসে ভেজা অক্ষর শব্দশ্বাস ব্যকরণ পিচ্ছিল আলো, আঃ

কন্ঠনালিতে তুমি শাদা-কালো ফোটোগ্রাফ আটক থাকবে চিরকাল

কয়ামত পর্যন্ত, প্রিয়তমা…