প্রচুর হুঁকো টানার রেস্তরাঁ গজিয়েছে মুম্বাইতে। দড়ির খাটে বা আরাম কেদারায় বসে তামাক-সাজানো গড়গড়া টানতে ভিড় করেন তরুণ-তরুণীরা; তরুণীরাই বেশি।নানা আকারের, আগেকার কালের, পেতলের, রুপোর গড়গড়া। মোটা টাকা দিয়ে।অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ। রাজকনীতিকরাও এগিয়েছেন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। তরুণ-তরুণিরা একটু সামন্ততান্ত্রেক মজা লুটতে চাইছেন; এতে আপত্তি কিসের, তামাকের ক্ষতিকারক চরিত্র ছাড়া। বাজারে তো গুটকা আর সিগারেট-বিড়ি দিব্বি বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১১
হুঁকো টানার রেস্তরাঁ
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় ও আমার উপন্যাস 'ডুবজলে যেটুকু প্রশ্বাস'
আমার উপন্যাস 'ডুবজলে যেটুকু প্রশ্বাস' শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় যোগারড় করে পড়েছিলেন। তাতে বর্ণিত ঘটনাগুলো থেকে সংবাদ তৈরি করার উদ্দেশ্যে উনি একদিন হঠাৎ দাদার বাড়িতে আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য হাজির। লাল টিশার্ট পরে।আজকাল পত্রিকার সম্পাদক ওনাকে বইটিতে বর্ণিত গোলমালগুলো অনুসন্ধান করে সংবাদ তৈরি করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ওনারা ভেবেছিলেন উপন্যাসের মতনই বেশ সেনসেশানাল খবর তৈরি করা যাবে।আমার কাছে তথ্য না পেয়ে উনি দাদাকে ধরলেন, সূত্র পাবার আশায়। দাদা ওনাকে পাটনার বদলে পাঠিয়ে দিলেন বাঙ্গালোর। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় চলে গেলেন বাঙ্গালোর। বেশ কিছুকাল পর দাদার বাসায় এসে বলেছিলেন, সমীর তো আমার ওষুধটাই আমার ওপর প্রয়োগ করল!
বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১১
লতিকাদির মৃত্যু
ফণীশ্বরনাথ রেণুর স্ত্রী লতিকাদি মারা গেছেন গত জানুয়ারি মাসে, জানতে পারলাম আজকে, ফেসবুকে কবি প্রভাত ঝা'র পাঠানো সংবাদে। ৭৬ বছর বয়স হয়েছিল। ২০০৯ সালে পাটনার বাসা ছেড়ে রেণু'র গ্রাম ঔরাহি হিংনায় চলে গিয়েছিলেন।
রেণু'র রাজেন্দ্রনগরের বাসায় ষাটের দশকে আমাদের যখন আড্ডা জমত, লতিকাদি আমাদের যাবতীয় আবদার সহ্য করতেন। লতিকাদির সঙ্গেই ছোটোবেলায় আমাদের পরিচয় ছিল, দিদিদের বাড়ির সামনের চিকিৎসালয়ে নার্স ছিলেন। রেণু সেখানেই চিকিৎসার জন্যে ভর্তি হয়েছিলেন।
লেখকদের স্ত্রীরা কেন সংবাদ হন না ? নাকি আমাদের দেশেই হন না !
রেণু'র রাজেন্দ্রনগরের বাসায় ষাটের দশকে আমাদের যখন আড্ডা জমত, লতিকাদি আমাদের যাবতীয় আবদার সহ্য করতেন। লতিকাদির সঙ্গেই ছোটোবেলায় আমাদের পরিচয় ছিল, দিদিদের বাড়ির সামনের চিকিৎসালয়ে নার্স ছিলেন। রেণু সেখানেই চিকিৎসার জন্যে ভর্তি হয়েছিলেন।
লেখকদের স্ত্রীরা কেন সংবাদ হন না ? নাকি আমাদের দেশেই হন না !
সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১১
অপ্রকাশিত লেখা চাই
প্রায় সবাই আমার অপ্রকাশিত লেখা প্রকাশ করার জন্য আবেদন জানান। সম্পাদক মশায়কে যখন জিঞ্জাসা করি যে আমার কোন কোন বই পড়েছেন, বলেন "আপনার বই তো পাওয়া যায় না কলেজ স্ট্রিটে, ঢাকার বইবাজারে"। তাহলে কেন তাঁরা প্রকাশিত রচনা ছাপতে চান না জানি না । যে লেখা সম্পাদক নিজেও পড়েননি, সেটিও তিনি ছাপতে চান না, এই অজুহাতে যে তা ইতিমধ্যে প্রকাশিত!
রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১১
জাপানিরা কিছুদিনের জন্য জাপান থেকে পালাচ্ছেন
মালয়েশিয়া আর সিঙ্গাপুরে দেখলুম বহু জাপানি। খোঁজ নিয়ে জানলুম জাপানের আণবিক তেজস্ক্রিয়তার প্রকোপ এড়াতে অর্থবান শ্রেণির লোকেরা কিছুদিনের জন্য অন্যান্য দেশে চলে যাচ্ছেন।অথচ অর্থবান শ্রেণির লোকেদের সুবিধার্থেই তো আণবিক রিয়্যাকটারগুলো বসানো হয়েছে দেশে-দেশে।
বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১১
টিউনিশিয়া, মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেন
দলে-দলে মানুষ পালাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে, বিপজ্জনক নৌকায় চেপে; অনেকে ডুবে মরছেন, অনেকে পৌঁছোচ্ছেন ইউরোপের নিকটতম দেশে।
যারা পালাচ্ছেন তাঁদের অনেকেই মধ্যবয়সী। ফেলে চলে যাচ্ছেন তাঁদের মা, বাবা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, আত্মীয়স্বজনদের।
যাঁরা চলে যাচ্ছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ, এবং যাঁরা পড়ে রইলেন তাদের ভবিষ্যৎ, ঘোর অনিশ্চয়তায় আক্রান্ত হল।
যারা পালাচ্ছেন তাঁদের অনেকেই মধ্যবয়সী। ফেলে চলে যাচ্ছেন তাঁদের মা, বাবা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, আত্মীয়স্বজনদের।
যাঁরা চলে যাচ্ছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ, এবং যাঁরা পড়ে রইলেন তাদের ভবিষ্যৎ, ঘোর অনিশ্চয়তায় আক্রান্ত হল।
আন্না হাজারের অনশন
আমৃত্যু অনশনে বসেছেন আন্না হাজারে। তাঁর দাবি, ভারতের রাজনীতিক ও আমলাদের চুরি-জোচ্চুরি থামাবার একমাত্র উপায় একটি 'লোকপাল আইন' যার আওতায় আসবেন ওই সমস্ত রাষ্ট্রীয় জোচ্চোররা।
ওনার এই অনশনই সম্ভবত শেষ সুযোগ এই দেশটাকে ভ্রষ্ট ও নষ্ট রাজনীতিক ও আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করে একটা সুস্হ রাষ্ট্র গড়ার।। এর পর আর সুযোগ আসবে বলে মনে হয় না।
ভারতবর্ষ যাতে মিশর, টিউনিশিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন-এর মতো গ্যাংগ্রিনে আক্রান্ত না হয়, তাই আন্না হাজারেকে সমর্থন করা অত্যন্ত জরুরি।
ওনার এই অনশনই সম্ভবত শেষ সুযোগ এই দেশটাকে ভ্রষ্ট ও নষ্ট রাজনীতিক ও আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করে একটা সুস্হ রাষ্ট্র গড়ার।। এর পর আর সুযোগ আসবে বলে মনে হয় না।
ভারতবর্ষ যাতে মিশর, টিউনিশিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন-এর মতো গ্যাংগ্রিনে আক্রান্ত না হয়, তাই আন্না হাজারেকে সমর্থন করা অত্যন্ত জরুরি।
মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১১
শুভপ্রসন্নর ছবি
শুভপ্রসন্ন একটি ছবি এঁকেছেন। ছবিটি রাজনৈতিক দৃষ্টিতে অসাধারণ। লাল রঙের শালুতে মোড়া একজন বৃদ্ধের লাশ, লাল কাপড়ে ঢাকা টেবিলের ওপর সাজানো। সেই টেবিলটি ঘিরে তেরোজন ঘাড়কুঁজো দাঁতখেঁচানে বুড়োর দল; আধ-বুড়িও আছে একজন, যার কপালে গোল টিপ।পেছনে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে ডিগবাজি-খাওয়া কাস্তে-হাতুড়ি, আর স্তালিনের গোঁফ।
ছবিটিতে আসল থাক্কাটা আছে ওই বুড়ো-বুড়িদের হাতের জায়গায়। তাদের বাঁহাত হয় দেখা যাচ্ছে না, নয়তো বাঁ হাতটাই নেই।
ছবিটিতে আসল থাক্কাটা আছে ওই বুড়ো-বুড়িদের হাতের জায়গায়। তাদের বাঁহাত হয় দেখা যাচ্ছে না, নয়তো বাঁ হাতটাই নেই।
রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১১
ব্লাসফেমি ?
ব্লাসফেমি শব্দটির সংস্কৃত প্রতিশব্দ খুঁজে পেলুম না সংস্কৃত অভিধানে। বাংলা অভিধানেও দেখলুম এর প্রতিশব্দ নেই ! মানে বোঝানো আছে যদিও। অর্থাৎ ধারণাটা সনাতন ভারতবর্ষের নয় । বাংলা অভিধানে ব্লাসফেমি শব্দের অর্থ, "অধার্মিকের ন্যায় কথাবার্তা বলা, ঈশ্বর নিন্দা করা, ঈশ্বরের নামে অভিশাপ দেওয়া।"
সংস্কৃত অভিধানে শব্দটির না থাকার অর্থ হল সনাতন ভারতবর্ষে ওই কাজ-কারবারগুলো সবই অনুমোদিত ছিল। বছর চল্লিশ আগে কুম্ভের মেলায় একদল জটাধারী সাধুকে দেখেছিলুম আগুনের সামনে গোল হয়ে বসে গাঁজা টানতে-টানতে শিবকে গালাগাল দিচ্ছেন, অওধি হিন্দিতে।তাদের ঘিরে ভক্তদের ভিড়।
সংস্কৃত অভিধানে শব্দটির না থাকার অর্থ হল সনাতন ভারতবর্ষে ওই কাজ-কারবারগুলো সবই অনুমোদিত ছিল। বছর চল্লিশ আগে কুম্ভের মেলায় একদল জটাধারী সাধুকে দেখেছিলুম আগুনের সামনে গোল হয়ে বসে গাঁজা টানতে-টানতে শিবকে গালাগাল দিচ্ছেন, অওধি হিন্দিতে।তাদের ঘিরে ভক্তদের ভিড়।
শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০১১
ভ্রুণহত্যা
২০১১ এর সেনসাস রিপোর্ট থেকে জানা গেল যে ভারতে যে রাজ্য অর্থনৈতিক দিক থেকে যত উন্নত, সে-রাজ্যে তত বেশি মেয়ে ভ্রুণ হত্যা করা হয়। সেই সব রাজ্যে প্রতি হাজার পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা অত্যন্ত কম। বহু গ্রামে যুবকদের বিয়েই হয় না, কনের অভাবে!
আজকে মগক ফাঁকা
আজ সিংগল মল্ট খেয়ে লিখছি। কী যে লিখব ভেবে পাচ্ছি না।হ্যাঁ, এরকম ভালো মদ ভারতে এখনও তৈরি করা সম্ভব হল না কেন? আমরা তো কত উন্নতি করছি । এ-ব্যাপারে পেছিয়ে কেন ?
শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১১
হিন্দি টিভি সিরিয়ালে ভারতীয় সংস্কৃতি
হিন্দি টিভি সিরিয়ালগুলোর গল্পে বিয়ে এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান প্রসারিত হবার ফলে বিভিন্ন প্রদেশ ও অনুস্তরীয় সম্প্রদায়ের আচার আচরণ দেখার সুযোগ ঘটছে।তার ফলে বেশ মিশ্রণও ঘটছে। একদিক থেকে ভালোই। ইভেন্ট ম্যানেজাররা জেনে নিচ্ছেন কী-কী আচার আচরণ চাই, এবং সেই মত ব্যবস্হা করছেন। মন্দ নয়। বাঙালির শাঁখ বাজছে, কনে শাঁখা-রুলি পরছে, অথচ মেয়েটি পাঞ্জাবি বা উত্তরপ্রদেশীয়। নাচানাচি চলছে বাঙালিদের বিয়েতে, বলিউডি স্টাইলে।আর খাওয়া-দাওয়ার তো একটা সর্বভারতীয় মেনু তৈরি হয়েই গেছে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)