“শরশয্যায় শেষ দুশ্চিন্তা”
আমি তোমাদের পিতামহ ভীষ্ম
তোমরা নিজেরা লড়বে থামাতে পারব না
আমি আমার জন্মদিন জানি না, বাবা-মার জন্মদিন জানি না
যাদের দলে আছি তারা একশোজন একই সঙ্গে একই তারিখে জন্মেছিল নাকি
ওরাও নিজেদের জন্মের তারিখ জানে না কেননা কয়েকজন
পরের সূর্যোদয়ে জন্মেছিল, হয়তো প্রথম পঞ্চাশজন আফগানিস্তানে
যাদের সঙ্গে লড়ছে তারাও পাঁচ ভাই জানে না কে কবে জন্মেছিল
তাদের আসল বাবার জন্মদিন কেউই জানে না
নকল বাবা কি নথিপত্রে মান্যতা পাবে ?
আরেকটা ভাই আছে কানের ভেতরে আইভিএফ করে পয়দা হয়েছিল
সেও জানে না তার জন্মদিন কবে ! কী তার বাবার সাকিন, জন্মদিন ? বিগ ব্যাং ?
আমার মা গঙ্গা জন্মেছিলেন কবে জুরাসিক, ক্রিটেশিয়াস, প্যালিওজিন যুগে
আমার বাবার চেয়ে কতো কোটি বছরের বড়ো সুন্দরী যুবতী ছিলেন?
যাই হোক আমার পূর্বপুরুষদের ও উত্তরপুরুষের পরিবারের লোকেদের
জন্মের তারিখ আর আঁতুড়ের ভূমি নথিতে লেখেননি গণেশ ।
আমি ঠিক কোন রাজ্যে জন্মেছিলুম ? উত্তরাখণ্ডে, উত্তরপ্রদেশে, বিহারে, বাংলায় ?
তীরের বিছানায় শুয়ে ভাবছি এই ফালতু পাঁচসাত
তৃষ্ণা মেটাবার জন্য মাটিতে একের পর এক তীর চালিয়েও
জলের ফোয়ারা তুলতে পারেনি অর্জুন ; মাটির তলার জল শুকিয়ে গিয়েছে !
প্রতিটি তীরে শুধু উঠে আসছে টাটকা রক্তের ঝর্ণা, বিভিন্ন ধর্মের, জাতির, বর্ণের, ত্বকের, জঙ্গলের, পাহাড়ের মানুষের দানবের রাক্ষসের
আমার হাঁ-মুখে আছড়ে পড়ছে অনন্তকাল জুড়ে উষ্ণ প্রস্রবন
এই রক্তস্রোত থামবে না কোনোদিন ; লড়াই চলতে থাকবে অবিরাম
আমিও তৃষ্ণার্ত থেকে যাবো আণবিক যুদ্ধ না-হওয়া পর্যন্ত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন