হাংরি
এর মধ্যে লুকিয়ে আছে হাঙ্গরি আর এঙ্গরি। রাগ এবং ক্ষুধা। মধ্যবিত্তের
জীবন বোধকে ছিঁড়ে খুঁড়ে উঠে আসা এক বিদ্রোহ। এ এক আন্দোলন। তার মুখপাত্র
ছিল সাহিত্য। নতুন এক সাহিত্য। তার ভাষা চলন গতানুগতিকতার বিরুদ্ধে। তার
ভাষা, শব্দচয়ন, প্রকাশ ভঙ্গি শালীনতা আর অশালীনতার
মাঝের বেড়া ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিল। কাঁপন ধরিয়েছিল গতানুগতিকতার
চিরস্থায়ী অবস্থানে। কেউ একধাপ এগিয়ে একে উগ্ৰপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে
মিলিয়ে দিতে চেয়েছেন এর বিরোধিতা করতে গিয়ে। কেউ বা একে আখ্যায়িত
করেছেন ব্যাভিচারী সাহিত্য বলে। কিন্তু এ আন্দোলন বোঝাতে পেরেছে সে ফুলিয়ে
তোলা ফানুস নয়। একটা শক্ত ভিতের উপর সে দাঁড়িয়ে। আবার কালের নিয়মে
এদের মধ্যে ভাঙ্গন এসেছে। তৈরি হয়েছে নতুন সঙ্ঘের। কিন্তু এর প্রভাব বাংলা
সাহিত্যে মুছে যায়নি। যেমন যায়নি নকশাল আন্দোলনের প্রভাব। দুটোই সমাজ,
পরিবার, সাহিত্য এমন কি ব্যক্তি জীবনেও প্রভাব ফেলেছে। সুতরাং এদের অবদান
ছিল, আছে, থাকবে। একে অস্বীকার করলে প্রকৃতিকেই অস্বীকার করা হয়। কালের
নিয়মে অনেককিছুই স্তিমিত হয় কিন্তু মুছে যায় না। একটা ক্ষীণ ধারা থেকেই
যায় মূল ধারায় নিজস্ব ছাপ ফেলে। তাকে কিভাবে অস্বীকার করবে। কিন্তু লিখতে গেলে সে তো মহাভারত হয়ে
যাবে। সে পরিসর এখানে নেই। শুধু বলব কেউ মানুক আর না মানুক এর প্রভাব ছিল,
আছে, থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন