২০০০ সালে আমার দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল, মুম্বাইতে। এখানে নানাবতি হাসপাতালে বলল দ্রুত বাইপাস করাতে হবে; তিন লাখ টাকা আনো।অত টাকা ছিলই না হাতের কাছে তখন, মুম্বাইতে। তাছাড়া কলকাতায় খরচ কম মুকুন্দপুরের হাসপাতালে। কলকাতায় চলে গেলুম, নানাবতি থেকে ছাড়ান পেয়ে।
কলকাতায় প্রভাত চৌধুরী বলল, একবার ভূমেন্দ্র গুহকে কনসাল্ট করে নিন। ভূমেন্দ্র গুহকে আমি কবি ও জীবনানন্দ গবেষক বলেই জানতুম।উনি যে কার্ডিওলজিস্ট তা জানতুম না।
প্রভাত ভুমেন্দ্র গুহকে আমাদের বাড়িতে নি্য়ে এলো।উনি আমায় আর রিপোর্টগুলো দেখে বললেন, শল্যচিকিৎসার মোটেই প্রয়োজন নেই, ওষুধ খেতে থাকুন আর খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন।ওনার ওষুধে সত্যিই বেশ উপকার পেলুম; তা মুকুন্দপুরে গিয়ে নানা টেস্ট করিয়ে এবং আমার যিনি অ্যানজিওপ্লাস্টি করেছিলেন ১৯৯৬ সালে তাঁকে দেখিয়ে। তিনিও বললেন যে ভুমেনদার ওষুধগুলো চালিয়ে যান। ভুমেনদা প্রতি মাসে এসে দেখে যেতেন, ফিস নিতেন না; নিজে বাড়ি বয়ে আমাকে ওয়েইং মেশিন আর ব্লাডপ্রেশার মাপার মেশিন কিনে দিয়েছিলেন।
তারপর কি হল জানি না। উনি আসছেন না দেখে, ফোন তুলছেন না দেখে, গেলাম ওনার ফ্ল্যাটে। উনি দেখতেই চাইলেন না। আমি আর আমার স্ত্রী দুজনেই অবাক।ফিরে এলুম।
দিন কয়েক পরে খবরের কাগজে দেখলুম ভুমেনদা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন, বিনয় মজুমদারের সঙ্গে একত্রে।বস্তুত আমার সঙ্গ যে কাউকে সাহিত্যপুরস্কার পেতেও বাধা হয়ে উঠতে পারে তা জানতুম না।
কিছুদিন পরে 'দেশ' পত্রিকায় ভুমেনদার পুরস্কারপ্রাপ্ত বইটির দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।আমার অনুরাগীরা বলল, দুই আর দুই যোগ করে নিন মলয়দা।
ভূমেন্দ্র গুহরায় খুবই ভালো শল্যচিকিৎসক জানতুম। মানুষ হিসাবেও জানতুম উদার ও সহিষ্ণু। কিন্তু সাহিত্যের গোলোকধাঁধায় ঢুকলে যে এরকম হতে পারে তা আমার ধারনা ছিল না।
২০০৩ সালে প্রকাশিত আমার কাব্যগ্রন্হ 'কৌণপের লুচিমাংস' ভুমেনদাকে উৎসর্গ করেছিলুম। উনি প্রাপ্তি জানাননি।আমি দ্বিতীয়বার পাঠিয়েছিলুম রেজিস্ট্রি করে; প্রাপ্তি জানাননি !
কলকাতায় প্রভাত চৌধুরী বলল, একবার ভূমেন্দ্র গুহকে কনসাল্ট করে নিন। ভূমেন্দ্র গুহকে আমি কবি ও জীবনানন্দ গবেষক বলেই জানতুম।উনি যে কার্ডিওলজিস্ট তা জানতুম না।
প্রভাত ভুমেন্দ্র গুহকে আমাদের বাড়িতে নি্য়ে এলো।উনি আমায় আর রিপোর্টগুলো দেখে বললেন, শল্যচিকিৎসার মোটেই প্রয়োজন নেই, ওষুধ খেতে থাকুন আর খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন।ওনার ওষুধে সত্যিই বেশ উপকার পেলুম; তা মুকুন্দপুরে গিয়ে নানা টেস্ট করিয়ে এবং আমার যিনি অ্যানজিওপ্লাস্টি করেছিলেন ১৯৯৬ সালে তাঁকে দেখিয়ে। তিনিও বললেন যে ভুমেনদার ওষুধগুলো চালিয়ে যান। ভুমেনদা প্রতি মাসে এসে দেখে যেতেন, ফিস নিতেন না; নিজে বাড়ি বয়ে আমাকে ওয়েইং মেশিন আর ব্লাডপ্রেশার মাপার মেশিন কিনে দিয়েছিলেন।
তারপর কি হল জানি না। উনি আসছেন না দেখে, ফোন তুলছেন না দেখে, গেলাম ওনার ফ্ল্যাটে। উনি দেখতেই চাইলেন না। আমি আর আমার স্ত্রী দুজনেই অবাক।ফিরে এলুম।
দিন কয়েক পরে খবরের কাগজে দেখলুম ভুমেনদা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন, বিনয় মজুমদারের সঙ্গে একত্রে।বস্তুত আমার সঙ্গ যে কাউকে সাহিত্যপুরস্কার পেতেও বাধা হয়ে উঠতে পারে তা জানতুম না।
কিছুদিন পরে 'দেশ' পত্রিকায় ভুমেনদার পুরস্কারপ্রাপ্ত বইটির দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।আমার অনুরাগীরা বলল, দুই আর দুই যোগ করে নিন মলয়দা।
ভূমেন্দ্র গুহরায় খুবই ভালো শল্যচিকিৎসক জানতুম। মানুষ হিসাবেও জানতুম উদার ও সহিষ্ণু। কিন্তু সাহিত্যের গোলোকধাঁধায় ঢুকলে যে এরকম হতে পারে তা আমার ধারনা ছিল না।
২০০৩ সালে প্রকাশিত আমার কাব্যগ্রন্হ 'কৌণপের লুচিমাংস' ভুমেনদাকে উৎসর্গ করেছিলুম। উনি প্রাপ্তি জানাননি।আমি দ্বিতীয়বার পাঠিয়েছিলুম রেজিস্ট্রি করে; প্রাপ্তি জানাননি !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন