যুবকটার হাঁ-মুখের বাতিক আছে
ও নিজেকে সামলাতে পারে না, মরা
ফুলগুলোকে, ছেঁটেফেলা নখ, বাসি
আটার বস্তা নিজের মুখে ঢোকায় । ও থামতে পারে না
নিজের মুখের বিষয়ে লেখালিখি করে । যেমনভাবে
ও ঘুম থেকে উঠলো মুখভরা মৌমাছি নিয়ে,
তাদের মরা হুলগুলো তখনও ফোটাচ্ছে
ওর মাড়িকে । ও লিখেছে : কিছু তো আছে
মুখ ভেঙে ফেলার সুন্দর উপায় হিসেবে
লালা আর শীতল বাতাসে । যুবতী যুবকের
মুখ চাড় দিয়ে খুলে ফেললো আর তাতে
ভরে দিলো সিসারঙা মাটি । মেয়েটি ওকে
মুখ দিয়ে ব্রেনডেড করে ফেলতে পারল ;
যুবতী মধু চেটে বের করে আনল
যুবকের শ্বদাঁত থেকে, গাছের প্রাণরসের মতন ।
যুবকের হাঁ-মুখ, তাতে টানা দাগ
গাল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে -- যুবতী কখনও দ্যাখেনি
অমনতর কিছু । যুবকের মুখ একটা ক্ষত
ওর খিদের, একটা ক্ষত ওর খিদের পরের
পেটুকেপনার । লেখালিখি বন্ধ করো
মুখ সম্পর্কে : দাঁত, মাড়ি সম্পর্কে,
বেঁকা দাঁত আর তার রঙচঙে নীল আর সবুজ ।
লেখা থামাও কেমন করে যুবতী কামড়ে ধরল
তোমার মুখ আর টর্চ জ্বেলে ঝালাই করল
মুখের খোলা-বন্ধ । লেখালিখি থামাও
মুখ সম্পর্কে : জিভ, পবিত্র কশের দাঁত, নিজেকে
চিবিয়ে হাড় করার ক্ষয় । মুখ নিয়ে লেখা থামাও
যুবকের মুখ, তোমার মুখ, যুবতীর মুখ ।
একজনের বেশি পুরুষ আমার স্কার্ট পর্যন্ত পৌঁছেছে
আমি জিগ্যেস করা বন্ধ করলুম:
কেন ?
আমি একজন লোককে সিটি মারার অনুমতি দিয়েছি
টেবিলে বসে আরও বিয়ার অর্ডার করার জন্য,
আর তার কাছে এনে দিয়েছি
এক গাল হেসে । আমি থাপ্পড় মেরেছি
একজন লোককে আর ছুটেছি
লোকটা ততক্ষণ হেসেছে--
বেশ সাহসী খুকি ।
আমার একবার গর্ভপাত হয়েছিল । আমি একটা লোককে
আমায় চুমু খাবার অনুমতি দিয়েছিলুম
গর্ভপাতের পর
লোকটার গরম চোখের জলকে সান্ত্বনা দিয়েছি।
আমি এসব কাণ্ড করেছি,
যখন অন্য যুবতীরা
চাকরি করেছে
জুড়েছে নানা অংশ
ডেল কমপিউটার বোর্ডে,
যখন কিনা অন্য যুবতীরা
বেশ্যালয়া কাজ করেছে,
আর চোটজখম খাওয়া বাহুতে
ফাউন্ডেশান ক্রিম মেখেছে
যখন কিনা অন্য মেয়েরা
বাসে চেপে একা বাসায় ফিরেছে
রাতের বেলায়, প্রতি রাতে,
যখন কিনা অন্য যুবতীদের পাওয়া যাবে
পোশাক পরে আছে
যা তাদের নিজেদের নয়, কিংবা
কোনো পোশাকই পরে নেই । আমি এসব কিছুই করেছি
যখন কিনা অন্য যুবতীদের পাওয়া যাবে
দুশ্চরিত্রদের সঙ্গে
রক্ত দিয়ে লেখা
তাদের ভাঙা তলপেটে ।
আমার মা আমার চোখ ঢেকে দিতেন
যখন মেয়েদের পাশ দিয়ে যেতুম
কোনে দাঁড়িয়ে,
আর বলত:
দ্যাখো তোমাদের ভাগ্য কতো ভালো
কোনো কাজকর্ম নেই
কিই বা করে ওরা ? আমিও কাজ করেছি
কারখানায়
বলা হতো কর্মী
হ্যা, আমি বলতুম, খুব ভালো ভাগ্য ।
একটি দেহ
ইদ
দুটো ইদ হাঁটতে হাঁটতে একটা দেহে ঢুকে পড়ে আর লড়তে থাকে রান্নাঘরের টেবিলে তরমুজ কাটা হবে আর মুঠোয় করে খাওয়া হবে নাকি তরমুজটাকে বন্ধ জানালা দিয়ে ফেলে দেয়া হবে আর দেখা হবে ফুটপাতে পড়ে কেমন করে ফাটল, কাঁচের টুকরোয় খুন হয়ে ।
ইগো
দুঃখিত, ম্যাকডোনাল্ডের গাড়ি যাবার গলিতে স্পিকারে চেঁচাবার জন্য । দুঃখিত, দরোজা দিয়ে তোমাকে প্রথমে ঢুকতে না দেবার জন্য । দুঃখিত, কলতলায় পনেরো মিনিটে এক ডজন ডোনাট খেয়ে ফেলার জন্য । দুঃখিত, আমার গলার আওয়াজ কর্কশ, মনে হয় বোকা, মনে হয় মাথা ঝিমঝিমে, মনে হয়ে হাঁক পাড়ছি । দুঃখিত, মম । আমি বলতে চাই, মামা । আমি বলতে চাই, মিস । আমি বলতে চাই, কিছু মনে করবেন না ।
সুপারইগো
প্রিয় শরীর : ধারালো ছুরি যেটা খুঁজে পাবে তাই দিয়ে তরমুজটা ফালি করে কেটে ফ্যালো আর তরমুজটাকে যে যন্ত্রণা দিচ্ছ তার আনন্দ উপভোগ করো । বলা বন্ধ করো যে তুমি দুঃখিত, বরং অপরাধবোধে ভোগো কর্কশ হবার জনয়, বোকা হবার জন্য, মাথা ঝিমঝিমের জন্য, হাঁক পাড়ার জন্য। অপরাধবোধে ভোগো কেননা তোমার মম তোমার মাম্মা তোমার মিসই সেই মানুষ যে আসলে অপরাধী তোমাকে এই শরীর দেবার জন্য যাতে রয়েছে দুটো ইদ, আর একটা ইগো আর একটা সুপারইগো যে তোমার সম্পূর্ণতায় ফিসফিস করে ।
তুমি এক অন্ধকার দেহ
জলের যাতে তলদেশের পাথর দেখা যাচ্ছে না
তোমার ওপর থেকে । তুমি কেবল জলের একমাত্র অন্ধকার দেহ
মরুভূমিতে যেখানে চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে রক্তাক্ত ক্যাকটাস ।
তোমার কন্ঠের হাড়ের কাছে তুমি বইছ একটা সংকীর্ণ গিরিখাত
একটা চুলে বাঁধা । তুমি দিনের পর দিন ঘুরে বেড়াও নিজের থেকে জল খেয়ে,
কেননা তুমি এই জমির একমাত্র অন্ধকার দেহ
জলের । দিগন্তরেখায় তুমি এক নারীকে খুঁজে পাও
বিছানায়, তার বুক লালায় ভিজে, তুমি লাথিয়ে তাকে বিছানা থেকে
ফেলে দাও, আর চাদরের তলায় তার জায়গা নাও । একজন লোক
তোমার পাশে শুয়ে আছে । সে তোমার অন্ধকার দেহ গিলে ফ্যালে
জলের আর তোমাকে নারীর দেহ দ্যায়, যে দেহের সঙ্গে তুমি
কখনও পরিচিত হওনি । নারী হিসাবে পুরুষ তোমাকে খোসপাঁচড়া দ্যায়
আর সেই খোস দিয়ে তুমি শ্বাস নাও, আর খোস সত্ত্বেও তুমি এক মৃত
শিশুর জন্ম দাও জলের অভাবে । তুমি শিশুটাকে লাথিয়ে
বিছানা থেকে ফেলে দাও, কিন্তু শিশুটি সেই নারীর কোলে ফিরে আসে
যার বিছানা তুমি চুরি করেছিলে। তুমি কাঁদো যাতে তোমাকে আবার
জলের অন্ধকার দেহ দেয়া হয় । লোকটা তোমাকে লাথিয়ে বিছানা থেকে
ফেলে দ্যায়, তোমাকে জঞ্জালে ঢেকে দ্যায়, আর তোমাকে মরুভূমিতে
পালটে দ্যায় । তুমি একটা বিছানার জন্যে কাঁদো যাতে লোকটা তোমাকে
আর কখনও শুতে দেবে না । তুমি তোমার দেহের পাথরের বিছানার জন্যে
কাঁদো যা জলের অভাবে মরুভূমি হয়ে গেছে ।
আমার মুখের ভেতরে একটা পাখি আছে
আমি ওটা তোমার পেটে খুঁজে পেলুম, আর ধরলুম
দুই আঙুল দিয়ে । পাখিটাকে রাখলুম
আমার কানের পেছনে ছোটো দাঁড়ে ।
পালকগুলো ছিঁড়ে নিলুম, তাদের পুরলুম
আমার ঠোঁটের তলায় তামাকের মতন,
আর কালু সুতোগুলো থুতুর সঙ্গে ফেললুম
একটা পলিথিন কাপে । এক রাতে
পাখিটা মরে গেল । পেষা ঠোঁট, চেরা
হাড় -- আমরাই করেছিলুম । তোমার হৃদয়
ঈর্ষায় ভরা , আমার দেহ বীজ আর
বাকলের স্বাদে উত্যক্ত
আমরা পাখিটাকে চাইনি ।
রাতের খাবারের সময়ে আমরা করলুম,
তুমি আমার স্মৃতির ভেতরে ঢুকলে
একটা আঙুল আমার কানে রাখলে।
আমি আমার হাত তোমার মুখে
রাখলুম পাখিটা ধরার জন্য
আর আমরা পাখিটাকে দুজনে
থেঁতলে দিলুম । ব্যাপারটা সহজ,
আমরা করে ফেললুম আর বেশ
আরামে কথাবার্তা বললুম ।
স্মৃতি ব্যবহার করে আমরা পাখিটাকে
মেরে ফেললুম যা কখনও আমাদের ছিল না।
এখন আমরা হয়ে গেছি
পাখির কসাই, তুমি বললে
আর পাখিটার নিস্তেজ দেহ
আঁস্তাকুড়ে ফেলে দিলুম । আমি
তোমার মুখটা দুহাতে নিতে চাইলুম,
কিন্তু দু’হাতই হারিয়ে ফেলেছি।
প্রতিটি আঙুল তোমার চোখের মণিতে
হারিয়ে গেল, আমাদের ছোটো ছোটো
কালো বিতর্কের মূল বিষয় ।
কাগজের টুকরো
কাগজের টুকরোয় নদী পার হবার সময়ে,
আমি আমার নাম ভুলে গেলুম। আমার শরীর,
একবার ফিরিয়ে দাও । আমি একজন মুরুব্বি
সন্ত চাই যে খেঁকুরে কুকুরটাকে তাড়িয়ে দেবে
রাতের বেলায় গাছের বেড়ার ধারে মনে হল।
আমি চাই জগতটা ভাষাহীন হোক,
কিন্তু বলা যায় না তাই চিন্তাধারা লিখে রাখবো।
সাহায্য পাঠাও, কুকুরটার গোঙানি
আমাকে ঘুমোতে দেবে না। কতোদিন ঘুমোইনি।
আমি এক মুরুব্বি সন্তের খোঁজ করছি, কিন্তু কেউই
আমাকে প্রার্থনা করার পথনির্দেশ দেবে না। আমার ডান কানে
গুঞ্জন আটকে আছে যা যেতে চায় না, যতোই আমি
মাথার ডানদিক থাবড়াই না কেন
খুচরো পয়সার জন্যে । বেশিরভাগ সকালে অবাক হই
আমি কার কাছে প্রার্থনা করব যে নিশ্চিত করবে যে
আমাকে জাগ্রত অবস্হায় বেঁচে থাকতে হবে না ।
বেশির ভাগ রাতে আমি জপের মালা নিয়ে প্রার্থনা করতে
ভুলে যাই, যদিও ওটা বিছানার পাশে রেখে ঘুমোতে যাই।
আমি কখনও টিভি কিনিনি কেননা আমি আমার মগজে
এই কথাবার্তা বারবার চালিয়ে যাবো । রান্নাঘরে
আমার মরা প্রেমিকরা ক্ষুধার্ত রয়েছে, তাই আমি এমন
খাবার ওদের দিই যা ওরা খেতে পারবে না। আমি
বাছুরের চামড়ার কাগজে রুটি বানাই, ব্যাণ্ডেজের
কাপড়ের ডিম ভাজি । আমি শুধু একজন মুরুব্বি
সন্ত চাই আমাকে যে রক্ষা করবে । আমি চাই
অন্য কারোর রক্তক্ষরণ হোক ।
নব্যপৌরুষ
তুমি এখনও বেঁচে আছো কিনা দেখার জন্যে, একটা পাত্রে চিনির রস গরম করো যতক্ষণ না
তা তোমার বাহুতে গ্রহাণুর থুতু ছিটোয় । তোমার পোড়া চামড়ার খেয়াল রেখো । তোমার দাগগুলো দুই বছরের বেশি থাকা উচিত নয় । যন্ত্রণাকে খেলাবার জন্য একটা পরিষ্কার স্লেট চাই । একটা লাল রঙের পোশাক পরো আর লোকজন তাকে সারারাত টানাটানি করুক। তোমার আকাঙ্খা : তোমার চুল ওপড়ানো হোক, রক্ত বেরোক, কুকুরের মতন গরমে নিজের ক্ষত চাটো । বলো যে রেগে যাবার জন্য তুমি দুঃখিত। বলো যে তুমি দুঃখিত কেননা তুমি রেগে গেছো । ক্রোধ হল পুরুষ মানুষের আবেগ । চিনি, পাতিলেবু আর নুন মিশিয়ে তুমি ক্রোধকে দুঃখে পালটে ফেলতে পারো যেমন ভালো মহিলারা করেন । ফোঁপানি বন্ধ করো, ব্যাপারটা কুৎসিত। তার বদলে, কুমারী মেয়েদের কাচ-অশ্রুর নকল করো যারা পুরুষদের দয়া চায় যে পুরুষরা তাদের দেহকে ক্ষতবিক্ষত করেছে । তোমার পুরুষকে বলো : তুমি পৌরুষের জীবন্ত মূর্তি । তাকে বলো এই কথা এচটিএমএল-এ তোমায় জানাতে । সিনেমায় যেমন হয়, তাপটা কেটে যাক, যতক্ষণ না ও চিৎকার করে বলছে যে তোমাকে তোমার মায়ের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেবে । পুরুষটা যখন হাসি থামাতে পারছে না, তুমিও হাসো--- বিদেশি হয়ে যাও যে ভাষা বোঝে না : আমি দুঃখিত দুঃখিত ! লোলা ফ্লোরেস শোনো আর ইনটারনেটে তোমার চোখের মাঝে যন্ত্রণা সার্চ করো । মন খারাপ কোরো না যদি তুমি একটা ঘরে বসে ফোঁপাও আর লোকটা পাশের ঘরে বসে ‘অসেতুসম্ভব’ বিষয়ে পড়াশুনা করে। লোলা ফ্লোরেসের মতন, তোমার চুলও খুব সুন্দর ; লোলার কথা বাদ দাও, ভাড়া মেটাবার জন্য চুল বিক্রি করে দাও । হাসতে থাকো যখন লোকটা বলবে : তুমি একটি অকৃতজ্ঞ দুশ্চরিত্রা তবু তুমি আমার । লোকটাকে বুঝিও যে নিজের বাবা হবার চেষ্টা কোরো না । যখন লোকটা বলবে যে তোমার জন্যেই এসব ঘটছে, জবাব দিও না । লোকটার আঙুল নিজের মুখে পুরে নিও আর শ্বাস বন্ধ করে রেখো যখন লোকটা জিগ্যেস করবে : কে তোমায় নিজেকে ঘৃণা করতে শিখিয়েছে ?
ভালো কঙ্কাল
জীবন অনেক ছোটো, আর আমি তা দেশের মেয়েদের বলি ।
জীবন অনেক ছোটো, আর আমি ওদের দেখাই কেমন করে কথা বলতে হয়
দরোজা না খুলে পুলিশের সঙ্গে, কেমন করে
সোশাল সিকিউরিটি নম্বর ফাঁকা রাখতে হবে
পরীক্ষার খাতায়, আমি এসব দেশের মেয়েদের শেখাই।
এই জগত রোজ ওদের বলে আমি তোমাদের ঘৃণা করি
আর আমি তা দেশের মেয়েদের কাছে লুকোই না
কেননা বাসের চালক ওদের লাথিয়ে বের করে দ্যায়
রাস্তায় টিকিট ফাঁকি দেবার জন্য । কেননা আমি ভালোবাসি
দেশের মেয়েদের, আমি ওদের পুরুষদের থেকে আগলে রাখি
যারা ওদের পরস্পরের মাথা ঠুকে ঘণ্টাধ্বনি শুনতে চায়।
জীবন অনেক ছোটো আর জগতটা ভয়ঙ্কর । আমি জানি
কোনো দয়ালু আগন্তুক এই দেশে নেই যারা এক মরুভূমি
দূরত্বের বোন, আর আমি এগুলো দেশের মেয়েদের কাছে
লুকোই না । জগতকে ওদের কাছে বিক্রি করা আমার
কাজ নয়, কিন্তু ওদের আগলে রাখা যাতে নিজের দেশে
ফেরত পাঠিয়ে দেয়া না হয় । আমাদের প্রথম
বাড়িমালিক একবালতি কাচবার কাপড় এনে বলল
তোর গায়ের রঙ পরিষ্কার হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি।
ও দেশের মেয়েকে ঝাঁকুনি দিয়ে বলল, তোদের হাড়
খাটুনির জন্য বেশ শক্তপোক্ত । দেশের মেয়ে, আমরা কি
এই জায়গাটা সুন্দর করে তুলতে পারি ?
আমি এই জায়গাটা সুন্দর করে তোলার চেষ্টা করেছি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন