সাধারণ নাগরিক তার ক্ষমতাহীনতা প্রয়োগ করে সিংহাসন টলিয়ে দিতে পারে।
মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১১
রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১১
বিউলির ডালে মৌরিবাটা
বিউলির ডালে মৌরিবাটা দেবার প্রয়োজনীয়তা যিনি আবিষ্কার করেছিলেন, তাঁকে ধন্যবাদ জানাতেই হয় ।
রবিবার, ২০ মার্চ, ২০১১
জীবনানন্দের লিবিয়া কি এই লিবিয়া ?
সোশ্যাল নেটওয়র্কগুলোয় আরব দেশগুলোর গণরোষ নিয়ে কাউকে মত-প্রকাশ করতে দেখছি না । কারণ কী ?
শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১১
গণতন্ত্র
ক্লেপ্টোক্র্যাসির বাংলা কী ? সবকটি ডেমোক্র্যাসিই ক্রমে ক্লেপ্টোক্র্যাসি হয়ে গেছে ।
শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০১১
আরব দেশগুলোয় গণপ্রতিবাদ
আরব দেশগুলোয় যা ঘটছে, তাকে কী বলব ? অনেকে বলছেন গণঅভ্যুথ্থান।কিন্তু প্রতিটি আরবদেশের গণরোষ তো একই রকম বা কারণে নয় । ভারতবর্ষে বসবাস করে আরবদেশের সমাজ-রাষ্ট্র সম্পর্কে ধারণা করা কঠিন।যাকে আমরা ব্যক্তিএকক বলি, তার আস্তিত্বিক যন্ত্রণা টের পাওয়া কী সম্ভব ?
যে ভারতীয়রা গোলমালের কারণে পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের কয়েকজনের কথাবার্তা শুনে একটা অদ্ভুত ব্যাপার জানতে পারলুম। মুম্বাইয়ের এই সব লোকগুলো শ্রমিক । তাদের রোজগার গেছে। তারা আরবদেশের সাধারণ মানুষ সম্পর্কে রুষ্ট।অর্থাৎ এতদিন সেই সব দেশে থেকেও সেখানকার মানুষের সুখ-দুঃখের অংশভাক হতে পারেনি তারা।
যে ভারতীয়রা গোলমালের কারণে পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের কয়েকজনের কথাবার্তা শুনে একটা অদ্ভুত ব্যাপার জানতে পারলুম। মুম্বাইয়ের এই সব লোকগুলো শ্রমিক । তাদের রোজগার গেছে। তারা আরবদেশের সাধারণ মানুষ সম্পর্কে রুষ্ট।অর্থাৎ এতদিন সেই সব দেশে থেকেও সেখানকার মানুষের সুখ-দুঃখের অংশভাক হতে পারেনি তারা।
বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০১১
ফেসবুকে কেন ? এই ব্লগেই করুন না মন্তব্য
আমার রোজনামচা পড়ে অনেকে ফেসবুকে তাঁদের মতামত লিখছেন। ফেসবুকে এত বেশি পোস্টিং হয় যে অনেকসময়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য হারিয়ে যায় । সবচেয়ে ভাল হয় যদি মন্তব্য-বিশেষ এই ব্লগেই করা হয়, প্রাসঙ্গিক এন্ট্রিটির তলায় । তাহলে তা থাকবে, এবং পরে যাঁরা মন্তব্য করতে চাইবেন, তাঁরাও দেখতে পাবেন ।
আত্মরঞ্জন ও মনোরঞ্জন
একজন কবি কী জন্যে কবিতা লেখেন ? কেউ লেখেন আত্মরঞ্জনের জন্যে । আবার কেউ লেখেন মনোরঞ্জনের জন্যে।
বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১১
এক কোটি মানে কত লক্ষ টাকা ?
এক কোটি মানে একশ লক্ষ টাকা। একশ লক্ষ !!!! ভারতবর্ষের রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা, কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় স্তরেই, প্রায় সকলেই অন্তত পাঁচ কোটি টাকার বেশি মালিক।অনেকে বিদেশেও নিয়ে গিয়ে রেখে দিচ্ছেন। অর্থাৎ রাজনীতিকরা দেশটার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সন্দিহান, তাই উত্তরপুরুষদের জন্যে বিশাল বৈভব তৈরি করে রেখে যাচ্ছেন । যাদের কাজ ভবিষ্যৎ গড়া তারা দেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবেন না।
লেবেলসমূহ:
আখের,
উত্তরপুরুষ,
ভ্রষ্টাচার
রোনালদিনিও/রোনালডিনহো , রবিনিও/রবিনহো
বিবিসি, সিএনএন এবং ইংরেজি স্পোর্টস চ্যানেলগুলো বলে রোনালদিনিও এবং রবিনিও। অথচ বাংলা চ্যানেল এবং বাংলা সংবাদপত্রগুলো উচ্চারণ করে রোনালডিনহো এবং রবিনহো!
আজকে বিকেলে জগার্স পার্কে দুটি বাঙালি যুবক এই বিষয়টি নিয়েই কথা বলছিল। শুনে, খটকা লাগল, আমি কেন লক্ষ করিনি এতকাল !
আজকে বিকেলে জগার্স পার্কে দুটি বাঙালি যুবক এই বিষয়টি নিয়েই কথা বলছিল। শুনে, খটকা লাগল, আমি কেন লক্ষ করিনি এতকাল !
মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১১
কুকুরের জন্মদিনের ব্যানার
দৃশ্যদূষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার একটি নতুন উপায় বের করেছেন শহরের একদল ডাক্তার। শহরের প্রতিটি রাস্তা এবং মোড় ছেয়ে থাকে নেতাদের মুখ-দেখানো রঙিন ব্যানারে।
কর্পোরেশান বলেছে যে কেউ অনুমতি চাইলে তাঁরা নির্ধারিত মাশুল দিয়ে ব্যানার টাঙাতে পারেন।
ডাক্তাররা বিরক্ত হয়ে সেগুলোর পাশে নিজেদের কুকুরের জন্মদিন উপলক্ষে মুখ-দেখানো রঙিন ব্যানার টাঙিয়ে দিচ্ছেন।
সেই কুকুরদের চামচা-কুকুরও রয়েছে পাশাপাশি।
রাজনীতিকদের চামচারা সেকারণে বেশ উত্তেজিত।
কর্পোরেশান বলেছে যে কেউ অনুমতি চাইলে তাঁরা নির্ধারিত মাশুল দিয়ে ব্যানার টাঙাতে পারেন।
ডাক্তাররা বিরক্ত হয়ে সেগুলোর পাশে নিজেদের কুকুরের জন্মদিন উপলক্ষে মুখ-দেখানো রঙিন ব্যানার টাঙিয়ে দিচ্ছেন।
সেই কুকুরদের চামচা-কুকুরও রয়েছে পাশাপাশি।
রাজনীতিকদের চামচারা সেকারণে বেশ উত্তেজিত।
মায়ের ভূমিকা
উলহাসনগরে একটি এগার বছরের বাঙালি মেয়ে, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী, কালকে আত্মহত্যা করেছে। পরশু মেয়েটি যখন তার কাকিমার বাড়ি খেলতে গিয়েছিল, তখন তার মা, মেয়েটির পড়ার বইপত্র ঘেঁটে একটি ডায়েরি পান। ডায়েরিতে মেয়েটি একজন সহপাঠীর প্রতি তার আকর্ষণের কথা লিখে রেখেছিল।
মা সোজা স্কুলে পোঁছে যান পরের দিন। প্রিন্সিপলের সঙ্গে দেখা করার জন্যে পীড়াপীড়ি করেন। মেয়েটি সেই ফাঁকে বাড়ি গিয়ে আত্মহত্যা করে।
একুশ শতকের কিশোরীর উনিশ শতকের মা ?
মা সোজা স্কুলে পোঁছে যান পরের দিন। প্রিন্সিপলের সঙ্গে দেখা করার জন্যে পীড়াপীড়ি করেন। মেয়েটি সেই ফাঁকে বাড়ি গিয়ে আত্মহত্যা করে।
একুশ শতকের কিশোরীর উনিশ শতকের মা ?
সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০১১
বসন্তঋতু
এসে গেছে ঋতু বসন্ত। মুম্বাই শহরের পথের দুধারে অচেনা গাছগুলোয় রঙিন ফুল দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই ঋতুতে আমি পরাগের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হই।
ফুলের দিকে তাকিয়ে, নাকে রুমাল চাপা দিয়ে পথ চলি। ডাক্তার আমাকে বডি ডিওডেরেন্ট ও পারফিউম লাগাতেও বারণ করেছেন, অ্যালার্জি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে। কোনো ফুলের গন্ধ তাই শুঁকে দেখিনাকো আর।
ফুলের দিকে তাকিয়ে, নাকে রুমাল চাপা দিয়ে পথ চলি। ডাক্তার আমাকে বডি ডিওডেরেন্ট ও পারফিউম লাগাতেও বারণ করেছেন, অ্যালার্জি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে। কোনো ফুলের গন্ধ তাই শুঁকে দেখিনাকো আর।
রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১১
নিরুদ্দেশ -- কারণহীন
মুম্বাই শহর থেকে প্রতিদিন ২৮ জন মানুষ হারিয়ে যায়, যাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এটা পুলিশের দেয়া তথ্য। অর্থাৎ আরও বেশি মানুষ হারিয়ে যায়। যারা হারিয়ে গেছে, তাদের বয়স এক থেকে ষাট। মহিলা-পুরুষ দুইই । তবে তরুণ-তরুণীদের সংখ্যা বেশি--- সেক্স স্লেভ বা যৌন ক্রীতদাস করার উদ্দেশ্যে তাদের অধিকাংশকে চালান করে দেয়া হয়েছে মনে করা পুলিস। যুবকরাও ওই উদ্দেশ্যে চালান হয়েছে। কী করছে সমাজ ? রাষ্ট্র ?
এই তথ্য পাওয়া গেছে আর.টি.আই. দরখাস্ত করে। কেউ একবার কলকাতার এবং সারা পশ্চিমবাংলার তথ্যটা যোগাড় করে দেখুন না। বাঙালি যুবতী তো শুনি সবচেয়ে বেশি পাচার হয়। কলকাতার সমস্যা হল থানাগুলো এফ আই আর করতে চায় না, কমিসার-দাদারা নির্দেশ না দিলে।
এই তথ্য পাওয়া গেছে আর.টি.আই. দরখাস্ত করে। কেউ একবার কলকাতার এবং সারা পশ্চিমবাংলার তথ্যটা যোগাড় করে দেখুন না। বাঙালি যুবতী তো শুনি সবচেয়ে বেশি পাচার হয়। কলকাতার সমস্যা হল থানাগুলো এফ আই আর করতে চায় না, কমিসার-দাদারা নির্দেশ না দিলে।
লেবেলসমূহ:
কলকাতা,
পাচার,
মানুষ,
যৌনক্রীতদাস
জেন রাসেল
জেন রাসেল, হলিউডের অভিনেত্রী, মারা গেলেন, থুথ্থুরে বুড়ি হয়ে। এ-বছর ওনার একশো বছর বয়স হত। একশো পুরো করা হল না।
আমার যৌন-উন্মেষের সময়ের সাদা-কালো ফিল্মের নায়িকা। সে-সময়ে নকল বুকের অনুশীলন আরম্ভ হয়নি; সিলিকন জেলও আসেনি।
পাটনার এলফিনস্টোন সিনেমা হলে প্রতি রবিবার ইংরেজি ফিল্ম দেখতে যেতুম, বন্ধুদের সঙ্গে। তখনই আবিষ্কার করেছিলুম জেন রাসেলকে। তারপর তো এসে গেলেন মেরিলিন মনরো। এক-একটা ফিল্ম যে কতবার দেখেছি তার গোনাগুনতি নেই।
ওনাদের উপস্হিতির কারণেই দেখতুম ফিল্মগুলো। কোনো শিল্প-টিল্প বোধের থেকে নয়।
আমার যৌন-উন্মেষের সময়ের সাদা-কালো ফিল্মের নায়িকা। সে-সময়ে নকল বুকের অনুশীলন আরম্ভ হয়নি; সিলিকন জেলও আসেনি।
পাটনার এলফিনস্টোন সিনেমা হলে প্রতি রবিবার ইংরেজি ফিল্ম দেখতে যেতুম, বন্ধুদের সঙ্গে। তখনই আবিষ্কার করেছিলুম জেন রাসেলকে। তারপর তো এসে গেলেন মেরিলিন মনরো। এক-একটা ফিল্ম যে কতবার দেখেছি তার গোনাগুনতি নেই।
ওনাদের উপস্হিতির কারণেই দেখতুম ফিল্মগুলো। কোনো শিল্প-টিল্প বোধের থেকে নয়।
শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১১
তেজষ্ক্রিয়তা : আতঙ্কের বিকিরণ
সুনামি এবং ভূমিকম্পের যৌথ আক্রমণে জাপানের আণবিক রিয়্যাক্টারে বিস্ফোরণ ঘটল। জাপান ঘোষিতভাবে আণবিক বিজ্ঞানকে শান্তির জন্যে ব্যবহার করতে চেয়েছে; অথচ সে-দেশেই ঘটল ভয়ানক বিস্ফোরণ। রাশিয়ার চেরনোবিলে অমন দুর্ঘটনা ঘটার পর কতজন যে পঙ্গু হয়ে গেছে তার হিসাব নেই। জাপানেও শেষ পর্যন্ত কত ক্ষতি হবে তার ইয়ত্তা নেই।
দেখা যাচ্ছে, শান্তির জন্যে অনু ব্যবহার অশান্তির জন্যে অনু ব্যবহারের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর। আনবিক বোমাগুলো হয়তো কখনও কোনো রাষ্ট্রের দ্বারা প্রয়োগ হবে না। কিন্তু পৃথিবী-জুড়ে রিয়্যাক্টারগুলোয় মানুষ বা প্রকৃতির অবদানে নানা সময়ে নানা দুর্ঘটনা ঘটতে থাকবে।
জল,কয়লা, পেট্রল, অনু ছাড়া অন্য উপায় কি নেই, মানুষকে দ্রুতির স্বপ্নে মশগুল করে রাখতে ?
দেখা যাচ্ছে, শান্তির জন্যে অনু ব্যবহার অশান্তির জন্যে অনু ব্যবহারের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর। আনবিক বোমাগুলো হয়তো কখনও কোনো রাষ্ট্রের দ্বারা প্রয়োগ হবে না। কিন্তু পৃথিবী-জুড়ে রিয়্যাক্টারগুলোয় মানুষ বা প্রকৃতির অবদানে নানা সময়ে নানা দুর্ঘটনা ঘটতে থাকবে।
জল,কয়লা, পেট্রল, অনু ছাড়া অন্য উপায় কি নেই, মানুষকে দ্রুতির স্বপ্নে মশগুল করে রাখতে ?
লেবেলসমূহ:
অনুবিস্ফোরণ,
দুর্ঘটনা,
প্রযুক্তি
জলের উচ্ছ্বাস
সমুদ্রের ঢেউ কত উঁচু পর্যন্ত উঠে যেতে পারে যে তা অজস্র বাড়িকে তাদের ভিত থেকে উপড়ে ধানখেতের ওপর দিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় ? চলন্ত ট্রেনকে যাত্রীসুদ্ধ তুলে নিয়ে গিয়ে খেলনার মতো ছুঁড়ে আছাড় দিতে পারে ? অজস্র মোটরগাড়ি আর প্লেনকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে জঞ্জালের মতন জড়ো করতে পারে এক জায়গায় ?
দৃশ্যটা ভাবার চেষ্টা করছি, কিন্তু ঢেউ-এর ওই উঁচু উচ্ছ্বাসকে, সমগ্র ধ্বংসকাণ্ডকে, ভিজুয়ালাইজ করতে পারছি না।
যে-জাপানিরা ওই জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে ভেসে চললেন, তাঁদের মনে কী ঘটছিল তখন ? তা কি বাক্যে প্রকাশ করা সম্ভব ?
দৃশ্যটা ভাবার চেষ্টা করছি, কিন্তু ঢেউ-এর ওই উঁচু উচ্ছ্বাসকে, সমগ্র ধ্বংসকাণ্ডকে, ভিজুয়ালাইজ করতে পারছি না।
যে-জাপানিরা ওই জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে ভেসে চললেন, তাঁদের মনে কী ঘটছিল তখন ? তা কি বাক্যে প্রকাশ করা সম্ভব ?
শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১১
প্রজাপতির দেখা
আজকে সকালে জগার্স পার্কে প্রাতঃভ্রমণ করার সময়, আশ্চর্য, একটা প্রজাপতি দেখতে পেলুম। হলুদ রঙের। মুম্বাইতে কত জায়গায় থেকেছি, গত তিরিশ বছরে; এর আগে কখনও প্রজাপতি দেখিনি। শেষ প্রজাপতি দেখেছিলুম হল্যান্ডে, আমার মেয়ের বাগানে। কেবল প্রজাপতিই নয়; মৌমাছি, ঘুঘুপাখি, অন্যান্য ইউরোপীয় পাখি দেখেছিলুম ওই বাগানে। কলকাতাতেও, আমার বাড়ির পেছনে প্রজাপতি দেখতে পেতুম কুড়ি বছর আগে, কিন্তু মেট্রো রেলের কারণে এত বাড়ি উঠছে যে কোনো ফুলের গাছ আর নেই ওই পাড়ায়।
আজ সকালে প্রজাপতিটাকে দেখে যে আনন্দ হল তা ব্যক্ত করার জন্যে শব্দটা হল 'অবর্ণনীয় ' ।
আজ সকালে প্রজাপতিটাকে দেখে যে আনন্দ হল তা ব্যক্ত করার জন্যে শব্দটা হল 'অবর্ণনীয় ' ।
বালজাক-এর উলঙ্গ মূর্তি
অগুস্তে রঁদা বালজাকের একটি উলঙ্গ মূর্তি গড়েছিলেন, ব্রোঞ্জের, যার ওজন প্রায় ৬৫ কিলোগ্রাম।জনৈক সংগ্রাহক সেটি কিনে ইজরায়েলের মিউজিয়ামকে উপহার দিয়েছিলেন। মুর্তিটি চুরি হয়ে গেছে!
ভাগ্যিস চুরি হল। নয়তো জানতে পেতুম না যে রঁদা অমন মূর্তি তৈরি করেছিলেন। উলঙ্গ বালজাককে দেখার সুযোগ করে দেবার জন্যে চোরকে ধন্যবাদ।
ভাগ্যিস চুরি হল। নয়তো জানতে পেতুম না যে রঁদা অমন মূর্তি তৈরি করেছিলেন। উলঙ্গ বালজাককে দেখার সুযোগ করে দেবার জন্যে চোরকে ধন্যবাদ।
হুসেন সাগরের জলে নিক্ষিপ্ত সাহিত্যিকগণ
হায়দ্রাবাদে তেলেঙ্গানা আন্দোলন চলছে।তেলেঙ্গানার লোকেদের ভাষা কি অন্ধ্রের লোকেদের ভাষার থেকে আলাদা?
কালকে আন্দোলনকারীরা বেছে-বেছে অন্ধ্রের প্রখ্যাত সাহিত্যিকদের মূর্তিগুলো উপড়ে হুসেন সাগরের জলে নিক্ষেপ করেছেন। বেশ কয়েক দশক আগে বসানো হয়েছিল ওগুলো। লেখকদের স্মৃতিকে আক্রমণের মাধ্যমে কি বলতে চাইলেন আন্দোলনকারীরা ?
কালকে আন্দোলনকারীরা বেছে-বেছে অন্ধ্রের প্রখ্যাত সাহিত্যিকদের মূর্তিগুলো উপড়ে হুসেন সাগরের জলে নিক্ষেপ করেছেন। বেশ কয়েক দশক আগে বসানো হয়েছিল ওগুলো। লেখকদের স্মৃতিকে আক্রমণের মাধ্যমে কি বলতে চাইলেন আন্দোলনকারীরা ?
বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০১১
বালক-বালিকাদের আত্মহত্যা
আমি স্কুলে পড়েছি অনেক কম বয়স থেকে । প্রথমে ক্যাথলিক স্কুলে, তারপর রামমোহন রায় সেমিনারি ব্রাহ্ম স্কুলে। আমার স্কুলে কোনো ছাত্র বা ছাত্রী কখনও আত্মহত্যা করেনি। অন্যান্য স্কুলেও কোনো ছাত্রকে সে-সময়ে আত্মহত্যা করতে শুনিনি।
এখন সংবাদপত্রে পায়ই পড়ছি আট-নয় বছরের স্কুল পড়ুয়ারাও আত্মহত্যা করছে।
কী ঘটে তাদের মনে, যা আমার সময়ের ছাত্র-ছাত্রীর মনে ঘটত না ? এমন নয় যে এই সমস্ত বালক-বালিকারা এলিট স্কুলের পড়ুয়া, এবং বাবা-মায়েরা তাদের 'প্রথম' হবার চাপ দিচ্ছেন। অনেকে মিউনিসিপাল স্কুলের বা আঞ্চলিক ভাষার স্কুলের পড়ুয়া।
রহস্যটা ঠিক কী ? আমাদের শহুরে সমাজে কোথায় রদবদল ঘটে গেছে ? গ্রামের স্কুলে তো স্কুল পড়ুয়াদের আত্মহত্যা করার সংবাদ দেখি না খবরের কাগজে?
শহরের ওইটুকু ছেলেমেয়ের মনে অস্তিত্ববাদী সংশয় দেখা দিচ্ছে এমনটা ভাবাও কঠিন। তাহলে ?
এখন সংবাদপত্রে পায়ই পড়ছি আট-নয় বছরের স্কুল পড়ুয়ারাও আত্মহত্যা করছে।
কী ঘটে তাদের মনে, যা আমার সময়ের ছাত্র-ছাত্রীর মনে ঘটত না ? এমন নয় যে এই সমস্ত বালক-বালিকারা এলিট স্কুলের পড়ুয়া, এবং বাবা-মায়েরা তাদের 'প্রথম' হবার চাপ দিচ্ছেন। অনেকে মিউনিসিপাল স্কুলের বা আঞ্চলিক ভাষার স্কুলের পড়ুয়া।
রহস্যটা ঠিক কী ? আমাদের শহুরে সমাজে কোথায় রদবদল ঘটে গেছে ? গ্রামের স্কুলে তো স্কুল পড়ুয়াদের আত্মহত্যা করার সংবাদ দেখি না খবরের কাগজে?
শহরের ওইটুকু ছেলেমেয়ের মনে অস্তিত্ববাদী সংশয় দেখা দিচ্ছে এমনটা ভাবাও কঠিন। তাহলে ?
লেবেলসমূহ:
অস্তিত্ববাদ,
মনস্তত্ব,
মূলভূত প্রশ্ন
বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১১
নারীদিবসে একজন নারীর আত্মহত্যা
মুম্বাইয়ের মালাড অঞ্চলে নিধি গুপ্তা নামে একজন মহিলা আত্মহত্যা করলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, যে-দিনটি আবার তাঁর দশম বিবাহবার্ষিকী। মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাবার জন্যে পোশাক পরিয়ে, ছেলের হাত ধরে সোজা উঠে গেলেন উনিশ তলায়। সেখান থেকে প্রথমে ছেলেকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন, তারপর মেয়েকে, তারপর নিজেও ঝাঁপিয়ে পড়লেন।
কী ভাবে একে ব্যাখ্যা করা যায় ? হঠাৎ স্প্লিট সেকেন্ড নির্ণয় ! পরিবারের সবাই বিস্মিত ।
কী ভাবে একে ব্যাখ্যা করা যায় ? হঠাৎ স্প্লিট সেকেন্ড নির্ণয় ! পরিবারের সবাই বিস্মিত ।
মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০১১
শুয়ে থাকা হাতির গায়ে লক্ষ লক্ষ শুক্রকীট
কিরণ নাদার কিনেছেন ভারতী খের-এর তৈরি ভাস্কর্য শুয়ে-থাকা হাতি, ছয় কোটি টাকা দিয়ে। লক্ষ লক্ষ শুক্রকীট হাতিটির দেহে এঁকেছেন, খোদাই করে। অসাধারণ ভাবনা। আমার মনে হয় কেবল ভাবনার জন্যেই ভাস্কর্যটির অমন দাম।
রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১১
সমরেন্দ্র সেনগুপ্তের মৃত্যু
সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত মারা গেলেন। সংবাদটি দিয়েছেন ইশিতা ভাদুড়ি। আমার সঙ্গে সমরেন্দ্র সেনগুপ্তের পরিচয় ছিল না। জানি না আমার লেখালিখি সম্পর্কে তাঁর মতামত ঠিক কোন খাতে বইত, কেননা তিনি নিজেকে একসময় কৃত্তিবাস গোষ্ঠির একজন করে ফেলেছিলেন। বিভাব পত্রিকার জন্যে তিনি আমার কাছে কখনও লেখা চাননি। রাহুল যখন সম্পাদনার কাজ নিজের হাতে তুলে নিলেন, তখন প্রথমবার বিভাব পত্রিকায় আমার কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
কেউ মারা গেলে আমার পক্ষে নিজেকে প্রকাশ করা খুব কঠিন হয়। কী বলব ঠাহর করতে পারি না। বোবা হয়ে যাই। আমি তাই কোনো শোক সভায় যাই না। শ্রাদ্ধতেও যাই না।
কেউ মারা গেলে আমার পক্ষে নিজেকে প্রকাশ করা খুব কঠিন হয়। কী বলব ঠাহর করতে পারি না। বোবা হয়ে যাই। আমি তাই কোনো শোক সভায় যাই না। শ্রাদ্ধতেও যাই না।
লেবেলসমূহ:
কৃত্তিবাস গোষ্ঠী,
বাংলা কবিতা,
বিভাব
শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০১১
মহেশ লাঞ্চ হোম
প্রায় কুড়ি বছর পর মহেশ লাঞ্চ হোমে খেতে গিয়েছিলুম, ফোর্ট অঞ্চলে, খাউ গল্লির কাছে। ওদের সামুদ্রিক প্রানীর খাবার বিখ্যাত। অনেক দিন পর সুরমই, পমফ্রেট আর চিংড়ি তন্দুরি খেলুম। কাঁকড়াগুলো তো বিরাট, ফুল-প্লেট ভরা।তারপর যে ঢেঁকুর, তার তুলনা হয় না।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)