শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১

মলয় রায়চৌধুরীর আভাঁগার্দ নভেলা : ইলিশের কাটলেট

 মলয় রায়চৌধুরীর আভাঁগার্দ নভেলা : ইলিশের কাটলেট


অন্যায়ের বিচার কোথায় গিয়ে চাইতে হয়?কালিবাউশের ডিম, কাডলের বিচি,চিঙ্গইড় মাছ দিয়া কচুর লতি।চালকুমড়া ইলিশঃ ফুল নয় প্রাণ ভরে নিই বাতাসের গন্ধ চোখ থেকে যারা ঘুম মুছে আমাদের খিদে সাজিয়ে রাখে হাটে বাজারে কিংবা পথের ধারে হাসতে হাসতে...কচি চালকুমড়া চাকচাক কইরা খেজুর কাঁটা দিয়া কেইচা নেওয়া লাগে। এরপর হলুদমরিচ মাখায়া ভাজেন। তারপর নরমাল তরকারির মতই। সোয়াদ ই সোয়াদ!কবিতায় ব্যবহৃত কোনো শব্দ কখনোই কারো মালিকানার নয়। কোনোই রোদ্দুর আর ব্যক্তিগত থাকছে না কোন এক গর্ভিণী কাছিম ধীরে,অতি ধীরে মেঘ দর্শনকালে, ফসিল হয়েছে দ্রুত,লাভাস্রোতকে ভ্রমে নদী কল্পনায় । ছাদের উপর, আমশি শুকোনোর আমন্ত্রণ থাকছে না তার অ্যারাইভাল ডিপারচারের নিঃশব্দ দরজা, কিসের সেন্সর নিয়ে খুলছে ডুবছে উড়ছে পর্দা, আর পিঠে হাত, পিঠে নেই হাত বন্দর বন্দর ক্যাব ক্যাব কার্ড কার্ড আকাশের অনেক উপরে বমি বমি করলেই খোঁপা বাঁধা ট্রেতে পিল, মুখে হাসি, ভিতরে গুলিয়ে ওঠা সহজাত টকজল হাওয়ার কম্প্রেশনে, কমোডের মধ্যে দিয়ে দুমড়ে মুচড়ে চলে গেল যেন, অর্থহীন রাগে কুঁকড়ে ওঠা প্রিয়মুখ কোন ব্রাণ্ড কণ্ডোম স্বাদহীন স্মৃতিহীন মনে আছে, তার মধ্যে কেমন শীৎকার মনে পড়ছে না আর। হঠাৎ ভীষণ শব্দ কী হল কী হল? "জোব্বাখানা পড়ে গেছে" "এত শব্দ তাতে?"


শব্দ রাবীন্দ্রিক বা জীবনানন্দ দাশীয় হয় না। রবীন্দ্রগিরি, জীবনানন্দগিরি থাকে কবিদের লেখায় শব্দ ব্যবহারের কোনো নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে। আমাদের আত্মবিশ্বাস,দৃঢ়তা,আত্মশক্তি রূপে থেকে যান অন্তরে। বাহ্যিক এই নিরঞ্জন শুধু একথা মনে করিয়ে দেয় জীবন অনিত্য,স্থায়ী নয় কোনো মায়ার বন্ধনই।আমি নিজেকে পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র ইন্টেলেকচুয়াল বলছি এই কারণে নয় যে, আমি সবার থেকে শিক্ষিত, বা আমার সংগ্রহে প্রচুর বই আছে। এ কারণে নয় যে আমি ফুকো, নীটসে, বেগম রোকেয়া, অবনীন্দ্রনাথ, সেরভেন্তিসকে নিয়ে অনর্গল কথা বলতে পারি। এসব অনেকেই পারেন। আমার চেয়েও কেউ কেউ ভাল পারেন। পেরে অশ্বডিম্ব প্রসব করেন, দামি প্রকাশনা থেকে। আমি এ কারণে নিজেকে একমাত্র ইন্টেলেকচুয়াল বলছি যে, আমি এই রাজ্যে সবচেয়ে কম রেফারেন্সে সবচেয়ে বেশি বুঝতে পারি, ও বলতে পারি। বন্ধুরা আমাকে ভালোবাসেন সন্দেহ নেই, ফলে আমি তাঁদের কাছ থেকে নানা উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা পেয়ে কৃতার্থ হই। কিন্তু বলি যে, আমি এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, তাতে কোনও ধর্মীয় দিনক্ষণের বা উপাস্যদের কোনও বিশেষ মাহাত্ম্য আমার কাছে নেই।তাত্ত্বিক দিক আপনার কথা একশো ভাগ সত্য, সেটা মেনে নিতে বাধ্য। 


কিন্তু নির্বিকার ব্রহ্ম স্থির এবং অপরিবর্তনীয় থেকেও জগতের সব পরিবর্তন এবং সৃষ্টির মূলে থাকে এটাও তো সত্য। সমগ্র সৃষ্টিই তো ব্রহ্ম, শব্দ সমগ্র ব্রহ্মরই অংশ। এক অর্থে তাই সমগ্র ব্রহ্মর অংশ শব্দ গতিশীল। তা যদি না হতো শব্দের পর শব্দ বসিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে হয় কেন? যেহেতু শব্দ ব্রহ্মর অংশ সেই হেতু শব্দও নির্বিকার, কিন্তু জড় নয়, তার চালিকা শক্তি আছে। ফলে আপনারা দয়া করে কোনও তিথিভিত্তিক শুভেচ্ছা আমাকে পাঠাবেন না, দেবদেবীর ছবিও পাঠাবেন না। শুধু শুভেচ্ছা পাঠাবেন, তাইই কৃতজ্ঞচিত্তে গ্রহণ করব।এই সময় ছাড়াও, আজ থেকে সহস্র বছর আগেকার, ও শত বছর পরবর্তী সময় ও স্থান নিয়ে একটা স্থির ভাবনা আমার আছে। সংস্কারবদ্ধতা ও সংস্কারবিমুখতার বাইরে থেকে, মধ্যপন্থায় আমি কথা বলতে পারি। মোকামতলায় আমার দাদাবাড়িতে একটা বিয়া হইতেছিলো, আমার যতদূর মনে পড়ে। শ্যাওলা ধরা একটা কুয়ারে ঘিইরা একদল মহিলা গীত গাইতেছে, নতুন বউ-জামাই দুইজনই কুয়ায় ঝুইকা আছে। গীতের বেশীরভাগ শব্দই অস্পষ্ট , একটা লাইন বার বার ঘুরে আসতেছে-- 'পান দিয়া গুয়া দিয়া লো...' আমার খুবই হাসি পাইতেছিলো, এই গুয়া জিনিসটা আসলে কী হইতে পারে সেইটা অনুমান করতে করতে। 


সবাই উলু দেওয়া শুরু করলো,আশ্চর্য! এইটা হিন্দু বিয়া না, অথচ সবার সিঁথিতে সিন্দূর অল্প কইরা। আমি কুয়ার পানিতে তাকায়ে আছি, পানি থিক্ থিক্ করতেছে। ছাই দিয়া বাসন মাজার পর ঘাটলার পানি যেমন ছাইরঙা হয়, ঠিক তেমন সুরমারঙ্গা কুয়ার পানি।তবু পানিতে স্পষ্ট দেখলাম নতুন বউ-জামাই নিজেদের মুখ জোড়-পান দিয়া ঢাকছে। আম্মু আমারে টাইট করে জড়ায়ে রাখছে, যাতে কুয়ায় না পড়ি। আমি আম্মুর তখনকার চেহারা মনে করার চেষ্টা করি, মনে পড়ে না। নতুন জামাই-বউরের চেহারাও মনে নাই। সন্ধ্যার আগ দিয়া এই শুভদৃষ্টি হইতেছিলো। এই হইহল্লার মধ্যে কে যানি চিৎকার দিলো --বরখা কই! বরখা কই! কয়েকজন ডাকতেছে, বরখা... বরখা! বরখা কোথাও নাই। একটা কানা বুড়ি(সম্ভবত বরখার দাদী ছিলো সে ) বলতেছিলো, গোরস্থানের দিকে দেখ, বরকীর খুডাটা জঙ্গলে জড়ায়া যায়। ব্যা ব্যা শুইনা কইছিলাম ঐডারে ছুটায়া আনতে। সেই রাত্রে বিয়াবাড়ির আনন্দ পণ্ড হইছিলো।বরখারে আর বাঁচানো যায় নাই। অনেক রাত্রে আম্মু আব্বুরে ধইরা বলতেছিলো, কোনো কবরে একটা ফাটল আছে, সেইটার ভিতরে বরখা পইড়া কাৎরাইতেছিলো। ওরে তুইলা আনার পর দেখা গেল সারা শরীর সাদা। 


রক্ত পড়তে পড়তে সাদা হয়ে গেছে ও। সবাই নাকি বলতেছিলো পিশাচ রক্ত চুইষা নিছে। আম্মা বার বার বলতেছিলো, পিশাচ রক্ত চুষলে ওই জায়গা দিয়া রক্ত পড়বে কেন? আমি ঘুমের মধ্যেই এই কথাগুলি শুনতে পাইতেছিলাম। বরখার জন্য খুব খারাপ লাগতেছিলো আমার। ইশারা আর গোঁ গোঁ করতো, কথা বলতে পারতো না মেয়েটা।কানেও কম শুনতো। আমার এখনও মনে আছে একটা ছাগলের বাচ্চা কোলে নিয়া সারা উঠান ঘুরতো মেয়েটা, বয়স তেরো-চোদ্দ। সেই বিয়াটার দিন সে কালোর মধ্যে ছোট ছোট সাদা ফুলের একটা কামিজ পরা ছিলো। একটু বড় হওয়ার পর আম্মুরে আমি প্রায়ই প্রশ্ন করতাম, আম্মু, বরখায় কোন জায়গা দিয়ে রক্ত বের হইছে? আম্মু নিশ্বাস ফেইলা অন্য কোনো কথা বলতে চাইতো, বেশী জ্বালাইলে বলতো-- কে তোমারে এইসব বলছে? কই থিকা এই গল্প শুনছো তুমি? 


একদিন আম্মু খুবই বিরক্ত হইলো, বললো এই অত্যাচার আর সহ্য হয়না। ওকে, শোনো তাইলে-- মুতু কর যে দিক দিয়া, সেই দিক দিয়া। এইবার শান্তি হইছে? কিন্তু এখন তুমি আমারে বলো, এই গল্প তোমারে কে শোনাইছে? তোমার আব্বু? আমি বললাম, না! আমি তো দাদাবাড়ির সেই বিয়াতে ছিলাম, তুমিও ছিলা। একটা কুয়ার সামনে মুখের উপর দুইটা পান একটু কোনা করে ধরে রাখছে নতুন বউ আর জামাই। মহিলারা গীত করতেছে। কুয়ার পানিতে ওরা ঝুইকা আছে। শুভদৃষ্টির পর ওই পান আর সুপারি কুয়ার পানিতে ফেলা হইলো। তখন সবাই বলতেছিলো-- বরখা কই, বরখারে পায় না। আম্মা আমারে থামায়ে বললো, এইসব কী বলস তুই? এইসব ঘটনা কে বলছে তোরে! তোর বাপেও তো তখন ঐখানে ছিলোনা। আর সবচাইতে বড় কথা তুইও ত ছিলিনা তখন! আমিই তাইলে বলছি মনেহয় এইসব, না? আম্মুরে কোনোভাবেই বুঝাইতে পারিনাই(এখনো পারি না) যে,এই গল্প আমার কারো কাছে শোনা না। আমি তারে বললাম, তুমি বরখারে অনেক আদর করতা, সে ছাগল নিয়া তোমার পিছে পিছে ঘুরতো। 


তোমার গলায় আর কানে একটা গোলাপ গোলাপ রূপার সেট ছিলো, তুমি ওরে সেইটা ওই বিয়ার দিন পরায়ে দিছিলা। মনে আছে? ও তোমার চুলে বিলি দিয়া দিতো, কথা বলতে পারতো না এইজন্য উকুন পাওয়ার পর মুরগীর মত খুট খুট শব্দ কইরা তোমার হাতের তালুতে উকুন ছাড়তো।মনে নাই? আম্মা এইসব শুইনা চিৎকার দিয়া আমারে জড়ায়ে ধরলো। বাবারে! আর কইস না। এগুলা তুই কোনোদিনও দেখস নাই। বাবারে, তুই তখন হসই নাই। তুই তখন আমার পেটে, বাবা! আম্মুর এই কথায় আমি যারপরনাই বিরক্ত হইছি। মাঝেমইধ্যে বরখার কথা খুব মনে পড়ে আমার, আজকে যেমন মনে পড়তেছে। বৃষ্টিতে হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার শেষমাথায় চলে গেছিলাম। বৃষ্টির তোড়ে একটা কবর দেখলাম ফাইটা গেছে, মনে হইলো উঁকি দিলেই বরখারে দেখতে পাবো।  সেই প্রথম উপলব্ধি করলাম ছাত্র নামধারী এই দলের ছাত্রগুলা আসলে কি। এরা কোন যুক্তিতর্ক বুঝে না। মতাদর্শের ভিন্নতা কি জিনিস তাও বুঝে না। 


রাজনীতি তো অনেক দুরের ব্যাপার। শুধুই বুঝে ক্ষমতা। দখল নেয়ার জন্যে এরা করতে পারে না এমন কিছু নাই। কামরুল স্পটে মারা যায় নি। তবে কয়েক মাস নাকি হাসপাতালে ছিলো। তারপর তার কি হয়েছিলো জানি না। কামরুলরা এভাবেই আস্তে আস্তে কত কত আবরার হয়, আমরা কয়জনেই বা তার খবর রাখি। ফেইজবুকে মাঝে মাঝে ঘাইঘুই তারপর একদম নিশ্চল। কিন্তু হায়েনা’রা বসে থাকে না। তাদের রক্ত খাইখাই ভাব বাড়তেই থাকে। বাড়তেই থাকে......আমি পলিটিকাল পক্ষপাতিত্ব থেকে মুক্ত থেকেও মানবতাবাদী হতে শিখেছি। দেহ আর আত্মার ভেদ নিয়ে ভাবিত নই। শ্লীল অশ্লীল নিয়ে চিন্তিত নই। অধ্যাপক ও রিক্সাচালকের পাশে আমি সমান মানানসই। আমি এতটাই স্বনির্ভর হতে পেরেছি যে কেউ চটে যাবে এই ভয়ে কোনো কথা বলা থেকে বিরত হতে হয় না। সর্বোপরি, সবচেয়ে কম প্রভাবিত হয়ে সবচেয়ে বেশি কথা বলার সামর্থ্য রাখি। প্রগতির ধার ধারি না। উন্নতিতে বিশ্বাস করি না। 


সম্প্রসারণ ও বিকাশের প্রতি আমি আস্থাবান, ও প্রচারক। মেয়েদের শরীর, সাহিত্য পুরস্কার, মঞ্চের আলো এগুলো আমাকে আর পথভ্রষ্ট করতে পারে না। এই জায়গায়, এই চরম জায়গায় আমি নিজেকে ছাড়া জীবিত কাউকে দেখতে পাচ্ছি না।। আমি আমার কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ও জীবনান্দ দাশ ও আরো অনেকরেই নিয়া আসার চেষ্টা করি। তাদের কবিতার রূপ, রঙ্গ ও নানান ভবিষ্যৎসহ। যারে প্রভাবিত হইতে না-চাওয়ারা বলবেন—"ব্যবহার করলুম!"তো আমি আমার কবিতায় কবিদের ব্যবহার করি। সব কালের সব কবিদের।সুতরাং কোনো কবির পরিচিতি দখল করা শব্দও খুব সামান্য ঘটনা।তাই আপনি এখন যখন ও আরো পরেও যখন 'তবু' দিবেন কবিতায় তা জীবনানন্দের 'তবু' হবে না যদি না তা জীবনানন্দের 'তবু' হয়।বর্তমানে উভ-নয়ন দৃষ্টি সম্পন্ন বাঙালি ক্রমশ বিরল হতে দেখা যাচ্ছে। তবে এক চোখ বিশিষ্ট এবং এক কান বা দু কান কালা হতভাগ্য প্রজাতির সংখ্যা আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। তাঁরা যখন দ্যাখে খুনি এবং শয়তান ঘরের কেউ, তখন তাঁরা জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকায়, কবিতা লেখে, চিঠি লেখে, সেলফি তোলে, উৎসবে মাতে, মলে যায়, পাহাড় সমুদ্র দর্শনে বেরোয়। 


কিন্তু যখন দ্যাখে খুনি বা শয়তান বাইরের দূরের কেউ, বা এমন কেউ যে তাঁর হিপোক্রেসির মুখোশ টেনে ছিঁড়ে ফেলতে পারে, তখন তাঁরা মাঠে ঘাটে রাস্তায় নির্বাচিত প্রতিবাদের কলম তাক করে আকাশ বাতাস আন্দোলিত করে।ডিটেনশন ক‍্যাম্পে ইতিমধ্যে আটজন মহিলার গর্ভপাত হয়েছে।প্রায় ষাটজনের কাছাকাছি মহিলা ধর্ষিত!লড়াই যেখানে হোক,যেভাবে হোক জারি রাখুন বন্ধুরা।ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা! যেখানে প্রতি মুহূর্তে সম্পর্ক ভাঙে,সেখানে একটা মানুষকে গোটা জীবন আগলে রাখা মানেই তো প্রতিদিন দুগ্গাপুজো,প্রতিদিন ঈদ,প্রতিদিন উৎসব।নবমী নিশি আগতপ্রায়। সম্বচ্ছরের দুরন্ত মেগা রাত। ক্লান্ত মাইক গত পাঁচ দিন বেদম চিল্লিয়ে শিশির মেখে জিরোবেন তখন। মাইকবিহীন মন্ডপে থোকা থোকা আনন্দ-ভীড়। ছোট্টো ছোট্ট চৌকো-গোল-তেকোণা জটলা আবার চলমান জনস্রোতে মিশে যাবে--- যাচ্ছে, তৈরী হচ্ছে, ভাঙছে---- ঢেউয়ের মতো। বলা বাহুল্য ওনার পরিহিত জামাটি আসলে আমার।বাবাটিও আমার।আমার সব কিছু হস্তগত করতে হবে ওনাকে। আমি কখনো যশো দেহিং,পুত্রং দেহি বলিনি সাদা বাংলায় কথা বলেছি।আমার রাজেন্দ্রানী তাই সারা বাড়ি র আদরের ধন।আরে দর্পণে মুখটা ঠিক করে দেখতে দে রে অনামুখোরা-এখনই তাড়াচ্ছিস কেনো?"বর্তমান সময়ের একটি অত্যন্ত মূল্যবান গবেষণার বিষয় হল বাঙ্গালির পুরুষার্থ কোথায় থাকে-- অণ্ডকোষে? না কি সেখানেও থাকে না...?


অ্যান্ড, আমাদের বাংলা কবিতারে আমাদের মধ্য দিয়াই আগাইয়া নিয়া যাইতে হবে। অবশ্যই আগানো মানে যা ছিল না, আগে যা সম্ভব ছিল না ভাষায় কবিতায় তাকে ধরতে ধরতে যাব।কেউ কেউ নিজের ব্যক্তিত্ব লইয়া তিনিরোধকের প্রতিভায় সামনে খাড়াইবেন। তার থিকাও যা নিবার আমরা নিব। আমরা মানে শত রূপ বাংলা কবিতারা।অর্থাৎ যদি বাংলা তার নিজের কালের যাত্রায় অগ্রসরমান থাকে তবে সব বিশিষ্ট কবিও ভঙ্গি, ভাব, অবশিষ্ট, টীকা আর বিবিধ না-পারাসহ আমাদের সঙ্গে সঙ্গে যাবেন।বড় কবিদের কাজ তাই—ভাষার ভিতরে মিশে যাওয়া।ছোট কবিরা ছন্দ-অছন্দ, মাপজোক, যাপন-টাপন, সুখ-দুঃখের বেদনা-মেশিন!যখন আবার আসবো না আর এই ধরাতেহয়তো শতেক বছর পরেইতখন যারা ধানের খেতে...বুদ্ধিজীবীর কী কাজ ~‍লাঞ্ছিত-বঞ্চিতের পক্ষে লড়া মানে অভিজাতের পক্ষে লড়া। আমাদের বুদ্ধিজীবীরা বহুদিন যাবৎ এই লড়া লড়তেছেন। যদিও নিষ্ফল। 'সমাজতন্ত্রই অভিজাততন্ত্র'--বোধগম্য হইলো না! সমাজতন্ত্রের ধারণার সাথে অাপনার এই অভিজাততন্ত্রের ধারণা মিলাইতে পারতেছি না।


তাদের কাজ অর্থের বা টাকার বা সম্মানের মূল্য বা মিনিং বদলাইয়া দেওয়া।কথাটা ভালো লেগেছে।অয়ি তাবাসসুম ~আপেক্ষিক দরিদ্র বন্ধু তাবাসসুম আমার নতুন বন্ধু 'অগো লগে মিশবা না' ~ ফেসবুকে যেইটা বুঝলাম কে কার লগে মিশলে কে কার লগে আর মিশবে না, বুদ্ধিজীবী বা অ্যাকটিভিস্টদের মধ্যে এই জিনিসেরই চর্চা চলে, ধুমাইয়া।এই 'চৌহদ্দি তৈরি ও তার মধ্যেই ঘাস খাইতে হবে' দিয়া চলতেছে বুদ্ধিরা। কারণ কী এর? খুব মজা। আমি রান্দি, তয় খেজুরের কাঁটা দিয়ে মোরব্বাক্যাচা করি না। আবার রনলে কইরা দেহুম।আমের আঁচার, পেপে দিয়া পাতলা ডাইল, কলমি শাক, নলামাছ ভাজি, আর মুরহাটিপস্ঃ শাক বটি দিয়া কুচি করবেন না, সবসময় হাত দিয়া ছিঁড়বেন।

 

পেপে ভর্তা, চালকুমড়া পাতা ভর্তা আর কলা ভর্তা।কেন কলকাতার বাংলা হইতে ঢাকার বাংলা আগাইন্না ~সব ভাষা বা ভাষার সব ধরনই এক—এ রকম চিন্তা ছাগলদের।ইংরাজি ভাষা অন্য সব ভাষার চাইতে উপরে। কেন উপরে?যেহেতু সব ভাষা এক না।ভাষা অস্ত্র, ভাষা কৌশল। অর্থাৎ ভাষা ও ভাষার ধরন মাত্রই একই মর্যাদা বা মাপে অবস্থান করে না। একই ভাষা একেক কালে একেক দশা প্রাপ্ত হয়।যেমন কলকাতার আর ঢাকার বাংলা এক বাংলা না।আমরা যারা নিজেদের থেকে অনেকটা বয়সে বড় কারোর প্রেমে পড়ি, তারা কিন্তু আদতে একটা আশ্রয় খোঁজার জন্য প্রেমে পড়ি। কাইন্ড অফ তাদের মধ্যে আমরা একটা ফাদার ফিগার বা মাদার ফিগার খুঁজি, কথায় কথায় আমরাই বলি তো সবসময়, যে আমাদের প্রেমিক প্রেমিকারা আমাদের মায়ের বা বাবার মতো আগলে রাখে।

ব্যাপারটা হলো ঠিক সেখানেই, আমরা যত বেড়ে উঠি ততই মা বাবার থেকে একটা দূরত্ব তৈরি হতে থাকে, ঠিক সেই মুহূর্তে আমরা এমন কাউকে খুঁজি যে বাবা মার মতো হবে অনেকটা, পুরোটা না হলেও।যে কিনা আমাদের আগলে রাখবে, একটু বকাঝকা দেবে ভুলভাল কাজ করলে, খুব একটা বেশি পজেসিভ হবেনা, আমরা মুক্ত ভাবে স্বাধীন হয়ে ঘুরতে পারবো, কোনো রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসের ঝুট ঝামেলা থাকবে না।হুটহাট আমাদের ফোন করবে, খোঁজ খবর নেবে, শরীর কেমন আছে, জিজ্ঞেস করবে! সময়মতো না স্নান খাওয়া দাওয়া করলে একটু টোন কেটে কথা বলবে "তোমার তো অনেক মানুষ আছে, তাদের সময় দিতে দিতেই তোমার দিন পেরিয়ে যায়"....স্বদেশে পূজ্যতে গরু ;বিদ্বান্ সর্বত্র পূজ্যতে । একটা খোঁড়া ছেলে.....কথাটা ধক করে বুকে লাগে। কেন রমিতা একটু শান্তি দেয় না।ছোট্ট শিশুরা খেলে বেড়ায় বাবলা টা ফ্যালফ্যাল করে দেখে। রুদ্র সহ্য করতে পারে না। মদ খেতেই থাকে। কাজ করে না। কী হবে আর।মা পেনশন পায়। তার দায় নেই।রমিতা ভালো মাইনের চাকরি করে নিজের বাড়ি ঘর। তার কী আছে।কিছু না।কিছুই না। সব শেষ। আরো পাথর হয়ে যাচ্ছে সে দিনকে দিন। কেউ কখনো বোঝেনি তাকে। বুঝবে না। ভালোবাসা বলে কিছু হয় না। অর্থহীন শব্দ।শুনলাম এক ঐতিহ্যবাহী কলেজের এক পিএইচডিখচিত অধ্যাপিকা এতটাই গুরুর প্রেমে মশগুল যে, তিনি ছাত্রদের ধরে ধরে সাপ্তাহিক সফরে এই গুরুর একটি নিকটবর্তী আশ্রমে নিয়ে যান দীক্ষা নেওয়াতে। নম্বরপ্রত্যাশী ছাত্রদল আর কী করে! অগত্যা! এইসব ঘটনায় এই 'শ্রী শ্রী' (প্রয়োজনমতো আরও শ্রী লাগানো যেতে পারে) ঠাকুরের প্রতি আগ্রহ আমার দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। 

কত রাত কেটে যায় একা একা।আবার গৃহহীন আবার বিতারিত। ওই যে মধ্যরাতে শুনশান রাস্তাটা আর সে জেগে আছে,ওই যে রাস্তার কুকুরের মতো জীবনটা তার।কে বোঝে। দিঘার সমুদ্রতটে শরীর ঘেঁষে বসে আছে রমিতা আর সে। একশ অশ্বারোহী র মতো ছুটে আসছে ঢেউ,তারা ভরা আকাশ। কী অপূর্ব নির্জন ।ক্রমাগত মা ফোন করছে মোবাইলে।বিরক্তিকর নিম্নচাপের মত ঘ্যানঘেনে অভিযোগ, কান্না। শরীর থেকে উঠে আসছে অব্যক্ত ক্রোধ। সব কিছু বিরক্তিকর হয়ে যাচ্ছে। রমিতা জড়িয়ে ধরে,আদর করতে চাইছে।এক ঝটকায় সরিয়ে দেয় হাত। নিষ্ফল আক্রোশে ফুঁসতে থাকে তার ভেতরের জন্তু টা। রমিতা দুঃখ পেয়েছে।মোবাইল টা বন্ধ করে দিলে যে আরো বড়ো আর বিশ্রী ব্যাপার ঘটাবে মা তা কেন বোঝে না রুম।পৃথিবী আসলে এক সারি সারি বিষণ্ণ মুখের শপ। দোকানি গিয়েছে খেতে। অরক্ষিত ক্যাশ।কে নেবে বিষণ্ণতা?বাজারে মন্দা বড়।বিক্রিবাটা কম। সারি সারি বসে আছে বিষণ্ণ সেলসবয়। ক্ষয়াটে চোখগুলি কাস্টমার খোঁজে। কেউ নেই। শুধু র‍্যাকে র‍্যাকে র‍্যাপ করা মুখেদের স্যাক।

আর কিছু ভালো লাগছে না । ছোটো থেকেই তার রাগ চণ্ডাল। হিতাহিতবোধশূন্য হয়ে যায় রাগ হলে।আমরাও লজ্জা পেয়ে হেসে উঠবো, একটু ন্যাকামি করবো, কোনো একটা বৃষ্টির বিকেলে দেখা করবো, মেঘ জমে থাকবে ঘন কালো মেঘ। একটা কফিশপে বসবো, দু কাপ কফি নিয়ে দু ঘন্টা কাটিয়ে দেবো। ফিরে আসার সময় একবার ঘুরে তাকাবো, চোখে চোখ পড়বে, ব্যস এটুকুই।বাড়ি ফিরে এসে একটা টেক্সট করবো "আজকের দিনটা আমি মনে রাখবো গোটা জীবন, আপনি বাড়ি ফিরলেন তো, আবার কবে দেখা হবে আমাদের?"....আমরা কিন্তু আমাদের থেকে অনেক বড় বয়সের মানুষের প্রেমে যতটা না সেক্সুয়াল ডিমান্ড বা ওই দেখেই উফফ ক্রাশ খেয়ে গেলাম, ইত্যাদি ইত্যাদি থেকে পড়ি তার চেয়ে অনেক বেশি একটা শান্তির ঘর একটা আলোছায়া মাখা বারান্দার খোঁজে পড়ি। আজও সেই দ্বিতীয় বিয়ে, একাধিক পুরুষ সঙ্গী, একাধিক নারী সঙ্গী, বিবাহের পূর্বে সন্তান এসব নিয়ে কেচ্ছা করি। আবার মন্দিরের গায়ে খোদাই করা সাধারণ ও অসাধারণ যৌনজীবন ও তখনকার মানুষের যৌন অভ্যাস নিয়ে ফোটোগ্রাফি, শিল্পচর্চা ইত্যাদি ইত্যাদি করে থাকি। মাঝে মাঝে ভাবি আমরা কী লেভেলের প্রগতিশীল! তাই না?কার ঘরের কোণে কতোটা ঝুল, গত পরশু পর্যন্ত জানতে ক'জন?

ঢাকারটা আগানো।চিন্তা বা বুদ্ধি এর কারণ না। তবে যে ভাষা আগানো তার চিন্তা অগ্রসর হইয়া থাকে ভাষার কারণে। ভাষা অগ্রে, চিন্তা না। লোকে চিন্তা দিয়া ভাষা করে না, ভাষা দিয়া চিন্তা করে। ঢাকার ভাষা আগায় থাকার একটা কারণ, ঢাকার লোকেরা পূর্ণ বাক্যে কথা বলে কম। যেইটা কলকাতার কেরানি বাংলার শিক্ষিত বৈশিষ্ট্য।পূর্ণ বাক্য মানে ইঙ্গিত বা সংকেতের বিলোপ।ইঙ্গিত বা সংকেত হ্রাস পাইলে ভাষাও ক্রমে অর্থ হারাইতে থাকে।রান্দনের সময় ঘুটনি দিয়া বাইরায়া রান্দবেন, নরম হইয়া মিশ্যা যাইবো মুখে।এইটা হইলো আমার পছন্দের শাক কলমি, সাথে ইঁচাগুড়া।এইটারে তো পরোটা না লুচি মনে হইতাছে..নাইল্যা শাক / পাট শাক, বেশী কইরা রসুন কুচি দিয়া।এইটা তেল না, ফ্রেশ পাতাগুলি গ্লেস মারতেছে। পাটশাকে আমি তেল দিই না। সামান্য ঘি দিয়া রান্দি। রান্দা শেষে উপরে লেবুর রস চিপ্পা ..খিচুরী, লোচা(কইতরের ছাও) ভুনা, ইলিশ ভাজা, আমের আচার... আহ্ দুই রকমের শাক। একটা পালং আরেকটা খুদুইরা(আঞ্চলিক নাম)। বেগুন ভাজা তো আমার সবচে প্রিয়। রুই মাছটা না রানলেও চলতো। হিহিহি শুকনা মরিচ ভাজা দিয়া ।দুদক চেয়ারম্যান বলছেন, ঘুষ খাওয়া আর ভিক্ষাবৃত্তির মধ্যে পার্থক্য নাই। কথাটা সম্পূর্ণ ভুল। 


ঘুষ খাওয়ার বিনিময়ে লোকে কাজ কইরা দেয়। ভিক্ষা নেওয়ার বিনিময়ে ভিক্ষুকরা কী কাজ করে? কিছু না।কাজেই ভিক্ষাবৃত্তি ঘুষ খাওয়ার চাইতে মহৎ পেশা। পেশা যত মহৎ কাজ ততই কম। আমরা ভাত খাইতে ভাত পাই না পণ্ডিতে খায় নারিকেল চল যাই মেশিনে ভাঙ্গাই শুক্রবারে সইষ্যা তেল পণ্ডিতের মা'য় করাতে ধার দিল ওরে পণ্ডিতের মা'য় ঝং ধরা করাতে… আমরা খালের পানিত বেইন্না বেলায় মাছ নি মারি আর আমরা হাত পাইত্তা বইয়া থাহি পণ্ডিতেরই ধার দেয় না নারিকেল হেয় দেয় না টেহাপয়সা বিদ্যাবুদ্ধি কিছু আমরা পুটকি মারমু পণ্ডিতেরে খালের ধারত নিয়া… হের মা'য় বুঝতে পাইরা পাহারা দেয় করাতে ধার দিয়া হেয় খায় নারিকেল, নারিকেল আর চারা ছিটায় চাইরো ধারদা দিয়া...আমরা চারা টোহাই ভাত খাই না পণ্ডিতে খায় নারিকেল চল যাই মেশিনে ভাঙ্গাই শুক্রবারে সইষ্যা তেল ওরে পণ্ডিতের মা'য় কবরে পাও দিল… সত্য ও আমি ~সত্য, তথ্য ও প্রমাণ—এসব প্রাইভেসি বিরোধী জিনিস। এসব নিয়েই উত্তেজিত আধুনিক অ্যাক্টিভিস্ট সমাজ। যদি প্রাইভেসি চাইবেন তবে কেন সত্যের দরকার? 


লুটেরা ও পাহারাদার ছোটলোকগুলির মাধ্যমে নিজেদের লুটপাটের নিরাপত্তা ধইরা রাখার দরকার এক সময় ছিল রাজনৈতিক দলসমূহ ও তার বড়লোক বড়লোক অভিভাবকদের। কিন্তু এখন পুলিশ সে দায়িত্ব পুরাই নিয়া নিছে। আবার ছোটলোক পাহারাদাররা এখন যেহেতু বড়লোকদের চাইতেও বড়লোক হইছে কাজেই এরা পুরানা বড়লোক ও তাদের সন্তান-সন্ততিদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা গ্রহণের পথে একটা একটা সন্দেহ হিসাবে খাড়া থাকতেছে। আমার তো মনে হয় "আসিতেছে ভবিষ্যত"-কে নিষ্কটক করার লক্ষ্যে নবীন লুটেরাদের সাইজ করা উদ্দ্যেশ্য নয়, উদ্দ্যেশ্য রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি। দন্দ্বটা নবীন-প্রবিণের নয়---ক্ষমতাকে মাঝে মাঝে নৈতিকতার মোড়কে হাজির করা--জনগণকে এমন বার্তা দেয়া যে, দেখ দেখ আমরা নীতির ক্ষেত্রে কত আপোষহীন।   আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যাররে আমিই কি জিগাইছিলাম নাকি উনি নিজেই বলতেছিলেন মনে নাই। কোনো সভায় না আলাপে তাও মনে নাই। আমি তখন বাংলাবাজার পত্রিকায়। স্যারের উত্তরার বাসায় ডিকটেশন নিতে যাইতাম। উনি ধীরে ধীরে বলতেন, আমি শুইনা শুইনা কাগজে তুলতাম। সে অনেক দিন আগের কথা। কত, বিশ চব্বিশ বছর হবে বা। যে এই যে লুটপাট করে সরকারের লোকেরা, বিজনেসম্যানরা এগুলি কি বন্ধ হবে না? সত্যি বলতে আমার ব্যক্তিগত জীবনে আমি ভীষণ পজেসিভ একজন মানুষ, কাউকে একবার কাছের মনে করলে তা সে মেয়ে হোক বা ছেলে, আমি তাকে অন্য কারোর সাথে শেয়ার করতে পারিনা।


তখন সায়ীদ স্যার বলতেছিলেন যে, লুটপাট যারা করতেছে তাদের যখন নিরাপত্তার প্রয়োজন হবে তখন অপেক্ষাকৃত চুনোপুটিদের লু...ক্যাসিনোর কেন মালিক হইতে হবে ~পুরানা ক্ষমতাশালী ও অর্থবানরা নতুন ক্ষমতাশালীদের ততক্ষণই গ্রহণ করে যতক্ষণ নতুনদের 'তুলনায় বেশি ক্ষমতা কিন্তু কম অর্থ' নামের দারোয়ানগিরি বজায় থাকে।ক্যাসিনোর মালিক হওয়া মানে নতুন ক্ষমতাবানরা নতুন অর্থেরও মালিক হইতে শুরু করছেন!পুরানাদের জন্যে এই রকম ক্ষমতা ও অর্থেরা যথার্থ হুমকি হইয়া দাঁড়াইতে পারে, সেই ভয় আছে, পুরানাদের।কাজেই ক্যাসিনোরা যতই নিজের লোক হউক না কেন, নিজের উত্তরাধিকাররা যেই দিনই ক্ষমতার গোল টেবিলে বসা শুরু করছেন সেই দিন থিকাই নতুন অর্থ ও ক্ষমতার মালিকদের সাইজ করার আন্তঃদলীয় রাজনীতি জরুরি হইয়া দাঁড়াইছে। এই হিসাবটা বোঝা দরকার।ক্ষমতার পাহারাদাররা যেন চিরকাল পাহারাদারই থাকে, ওদের কেন মালিক হইতে হবে! ভিড়ের মধ্যে বসে আছি একা ডাবুহাতা করে তুলে দেওয়া হচ্ছে স্বপ্ন, একটা নোংরা হাত, লঙ্গরখানা সবাই পাত পেড়ে খাচ্ছে আমি ক্রমশ ডুবে যাচ্ছি অন্ধকারে, হাতঘড়িটা হারিয়ে ফেললাম এইমাত্র, ঘরে ফেরার দায় নেই, দারুণ ব্যস্ততা, অন শপ থেকে ছিটকে আসছে বমির শব্দ, অপরিচিত মেয়েটার গায়ে বেড়ালের গন্ধ, ভোর না হওয়া পর্যন্ত শুয়ে থাকবো এখানেই, রাত্রির লঙ্গরখানা কিম্বা পানশালা এখন, ধর্মের হাট-বাজার 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন