শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১২

অবন্তিকা

'কপিরাইট' কবিতাটির জন্য অবন্তিকার এই পেইনটিঙটি সংগ্রহ করে পাঠিয়েছেন আমার কবিতার এক পাঠক । তিনি বাংলাদেশনিবাসী অজিত সরকার । তাঁকে ধন্যবাদ।
 

রোজনামচার পাঠক

আজকাল রোজনামচা লিখছি ক্ষেপচুরিয়ান ই-জাইনে । তাই এখানে লেখা হয়ে উঠছে না ।
http://khepchurian.blogspot.in/2012/12/blog-post_4042.html

মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১২

চুম্বন

চুমু খাবার সময়ে নারী-পুরুষ চোখ বুজে থাকেন কেন ? যাঁরা গে বা লেসবিয়ান তাঁরাও কি চোখ বুজে চুমু খান ?

মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই, ২০১২

আমাদের পাড়ায় ময়াল আর চিতাবাঘ

মুম্বাইতে আমি যে এলাকায় থাকি তা অত্যন্ত ব্যস্ত ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ের ওপর । হাইওয়ের অন্য পারে যে ফ্ল্যাটবাড়িগুলো আছে সেখানে প্রায়ই ময়াল সাপ আর চিতাবাঘ দেখতে পাওয়া যায় ! চিতাবাঘগুলো পশ কলোনির সাজানো বারান্দায় ঢুকে দিনের বেলাতেও ছায়ায় গা এলিয়ে দিয়ে বসে থাকে। কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার সময়ে কেউ কি আঁচ করতে পেরেছিলেন যে বাড়তি আনন্দ আর আত্ঙ্ক হিসেবে ময়াল আর চিতাবাঘ পাবেন ?

রবিবার, ২৪ জুন, ২০১২

বিয়ের দোকান : খ্রিস্টান আর মুসলমানের বিয়ে

মার্ক রেবেলো আর সাকিনা খান বিয়ে করেছিলেন ১৯৯৫ সালে। বিয়ে করেছিলেন হিন্দু মতে ! তাঁদের এই পরামর্শটি দিয়েছিল ব্যান্ড্রা কোর্টের বাইরে কোনো এক বিয়ের দোকান। আমিও দেখেছি এই দোকানগুলো। কাগজপত্র সদাসর্বদা তৈরি । খদ্দের ধরে টানাটানিও হয়। 
এখন আদালতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারলেন তাঁদের বিয়েই হয়নি। ওই আইনটা তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
আদালতে তাঁরা গিয়েছিলেন বিবাহ-বিচ্ছেদ চাইতে । আদালত বলেছে যে বিয়ে আদপে হয়নি তার আবার ভাঙার কিছু আছে নাকি !
দুটি ধর্মের বিয়ের ক্ষেত্রে দেখছি যত বয়স হতে থাকে ততই ধর্ম মাঝখানে দাঁড়িয়ে গণ্ডোগোল পাকায় ।

শুক্রবার, ২২ জুন, ২০১২

এসট্যাবলিশমেন্ট : তখন ও এখন

আগের এসট্যাবলিশমেন্টের সময়ে মফসসলের সম্পাদকদের ভীতি লক্ষ্য করতুম, লেখা ছাপার ব্যাপারে । এখনকার এসট্যাবলিশমেন্টের সময়ে দেখছি কলকাতার লিটল ম্যাগাজিনগুলোই লেখা চাপতে ভয় পাচ্ছেন ; মফসসলের সম্পাদকদের তত ভয় নেই। 
আগের এসট্যাবলিশমেন্টের নিজস্ব মণীষীদের তালিকা ছিল । নতুন এসট্যাবলিশমেন্ট সে-তালিকা বাতিল করে নিজেদের তালিকা তৈরি করেছেন। 

উনিশ শতকের মণীষীদের সঙ্গে তুলনা করতে বেশ সুবিধা করে দিয়েছেন এই সমস্ত প্রাতিষ্ঠানিক মণীষীরা !

শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১২

আত্মঘাতী বাঙালি

জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি কয়েকজন কুচুটে বাঙালি। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ক্ষত্রেও তা-ই ঘটতে যাচ্ছিল। দেশভাগের পর আন্দামান নিকোবর দ্বীপপূঞ্জকে একটি বাঙালি উপনিবেশ করতে চেয়েছিলেন বিধান রায় । কিন্তু সে-ক্ষেত্রেও বাধসাধে কয়েকজন কুচুটে বাঙালি।

মঙ্গলবার, ৫ জুন, ২০১২

ভ্রুণ হত্যা ও সেই ভ্রুণটি কুকুরকে খাওয়ানো

মহারাষ্ট্রের বিড জেলাশহরে এক ডাক্তার দম্পতি মেয়ে-ভ্রুণ খালাস করার ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। এটি একটি মারাঠা-অধ্যুষিত এলাকা । পাশের রাজ্য কর্ণাটক আর অন্ধ্র থেকেও পোয়াতিদের নিয়ে আসতেন স্বামী-শ্বশুর । প্রতিদিন পঁচিশটির বেশি ভ্রুণ হত্যা করা হতো। কিন্তু পোয়াতির পরিবার তো আর খালাস-করা ভ্রুণ সঙ্গে নিয়ে যাবেন না । অন্যত্র ফেলাও যায় না সেগুলো । ডাক্তার দম্পতি তাই দেড় ডজন কুকুর পুষেছিলেন। খালাসকরা ভ্রুণগুলো কুকুরগুলোকে খাওয়ানো হত ।

পরমাপ্রকৃতি-মলয় রায়চৌধুরী। ( আবৃত্তি করেছেন আমার বাংলাদেশি পাঠক 'মন বন্দি' )

prochondo boiddutik chutar ( প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার) আবৃত্তি করেছেন আমার বাংলাদেশি পাঠক রাজীব চৌধুরী

প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার (Stark Electric Jesus) আবৃত্তি করেছেন ফ্লোরিডা নিবাসী কবি শিবাশীষ দাশগুপ্ত

মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১২

কুলসুম আপা : উনি কে ?

         কয়েকজন পাঠিকা জানতে চেয়েছেন, আমার কবিতা ও গদ্যে কুলসুম আপা নামটি আসে ; এমন কি আমার প্রবন্ধসংগ্রহের দ্বিতীয় খন্ড যাঁদের উৎসর্গ করেছি তাঁদের মধ্যে অন্যতম কুলসুম আপা। ওনারা জানতে চেয়েছেন, 'উনি কে '?
         পাটনায় শৈশবে যে পাড়াটিতে থাকতুম সেই পাড়াটির নাম ইমলিতলা । অবশ্য কোনো তেঁতুলগাছ ছিল না পাড়ায়। পাড়াটি ছিল নিম্নবর্গীয় হিন্দু এবং অত্যন্ত গরিব কয়েকটি শিয়া মুসলমান পরিবার অধ্যুষিত। এই শিয়া পরিবারগুলো ব্রিটিশ আক্রমণে লখনউ-এর পতনের পর পাটনায় পালিয়ে এসেছিলেন। যখন এসেছিলেন তখন চুনসুরকির গাঁথুনি দিয়ে যে বাড়িগুলো তৈরি করিয়েছিলেন তা আমার শৈশবে খন্ডহরে পালটে গিয়েছিল। পাড়ার শিয়া মসজিদটিরও একই দশা ছিল। মসজিদের ইমাম সায়েব আমাদের ভালোবাসতেন। এখনকার হিন্দু ছেলেরা মসজিদের ভেতরটা কেমন হয় জানেন না । আমাদের শৈশবে কিন্তু লুকোচুরি খেলার সময়ে মসজিদে প্রবেশের অবাধ অধিকার ছিল; নামাজের সময়গুলো ছাড়া।
          কুলসুম আপা ছিলেন মেজদার বন্ধু নাজিমের দিদি। ওনাদের অবস্হা বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বাড়ির নারী-পুরুষ সবাই বিড়ি বানাতেন। এবং তাছাড়া সংসারের খরচ তোলার জন্য ওনারা হাঁস মুর্গি ছাগল পুষতেন। আমাদের বাড়িতে হাঁসের ডিম আসত ওনাদের বাড়ি থেকে। সেই সূত্রে ওনাদের বাড়িতে আমাদের আর আমাদের বাড়িতে কুলসুম আপা-নাজিমদের যাতায়াত।
          কুলসুম আপা শায়রি করতে ভালোবাসতেন। আর আমি ছিলুম ওনার শায়রির প্রধান শ্রোতা। উনি ছিলেন কালো কিন্তু চোখদুটো বেশ ডাগর ; শরীরও কৈশোরেই ভরাট। ওনার প্রতি আকর্ষিত হয়ে চলে যেতুম প্রায়ই; ডিমের প্রয়োজন না থাকলেও ।
        ক্রমশ কুলসুম আপা আমাকে নারীদেহের রহস্যগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে থাকেন। তাঁর নিজের ছিল কৈশোরের শারীরিক প্রয়োজন আর আমার ছিল বয়ঃসন্ধির উদগ্র আগ্রহ । উনি শায়রি করার ছলেও উন্মোচিত করতেন ওনার রহস্য। কুলসুম আপা আমার প্রথম প্রেমিকা এবং শিক্ষিকা। 
         ওই পাড়া ছেড়ে আমরা চলে যাই পাটনার দরিয়াপুরে । সেটি একটি সুন্নি মুসলমান পাড়া । দরিয়াপুরের মুসলমানরা ছিলেন বেশ গোঁড়া । একজন চুড়ি ব্যবসায়ী ছাড়া অন্য কোনো পরিবারের সঙ্গে দরিয়াপুরে আমাদের যাতায়াত ছিল না।
         ২০০৫ সালে পাটনায় গিয়ে ইমলিতলা আর দরিয়াপুরে গিয়েছিলুম। পুরানো পরিচিতরা কেউ নেই। ইমলিতলার মসজিদ সারানো হয়েছে ; ধবধবে। কুলসুম আপাদের বাড়িটা কিনে নিয়েছে অন্য কোনো মুসলমান পরিবার । সেই বাড়ি থেকে দেখলুম যে মহিলারা বেরোলেন তাঁরা বোরখায় ঢাকা। দরিয়াপুর হয়ে গেছে আরও বেশি গোঁড়া । বিনা দাড়ির কোনো পুরুষ দেখতে পেলুম না।
         আমার স্মৃতিতে রয়ে গেছেন কুলসুম আপা।
 

শনিবার, ৫ মে, ২০১২

রাজনৈতিক অপরাধীদের 'ভি' চিহ্ণ

রাজনীতিক ক্রিমিনালরা গ্রেপ্তার হলে বা সাজা পেলে দিখে দু-আঙুল দিয়ে 'ভি' চিহ্ণ দেখাচ্ছেন । ঠিক কাদের উদ্দেশ্যে  ? গণতন্ত্রের উ্দ্দেশ্যে বোধ হয় ।

মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১২

পোস্টমডার্ন কালখণ্ড ও বাঙালির পতন

১৯৯৮ সালে উপরোক্ত প্রবন্ধটিতে যে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিলুম তা দেখতে পাচ্ছি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে । আমি বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছিলুম যে কেন বিগত তিন-চার দশকে পশ্চিমবঙ্গ নেমে চলেছে এমন এক গভীর খাদে যেখান থেকে ফেরত আসা আর সম্ভব নাও হতে পারে। প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছিল 'প্রমা' পত্রিকায়। পরে এটি নাগপুরের 'খনন' পত্রিকা কর্তৃপক্ষ পুস্তিকার আকারে প্রকাশ করেছিলেন। প্রবন্ধটি আমার 'প্রবন্ধসংগ্রহ' গ্রন্হের দ্বিতীয় খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত।

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১২

ইমলিতলার স্মৃতি

এটি সত্তর বছরেরও বেশি পুরানো একটি ফোটো। এতে আছেন, বাঁদিক থেকে, বড়দি সাবিত্রী, দাদা সমীর রায়চৌধুরী, মেজ-জেঠিমা করুণা, আমি, বড়-জেঠিমা নন্দরানী, মেজদা অরুণ ( যাঁকে এক বেশ্যার কাছ থেকে কেনা হয়েছিল ), মা অমিতা আর ছোড়দি ধরিত্রী।

মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১২

মাসে ৫০০০০ হাজার টাকার কম আয় হলেই গরিব

মুম্বাই হাইকোর্টকে পারসিদের পঞ্চায়েত জানিয়েছে যে কোনো পারসির আয় যদি পঞ্চাশ হাজার টাকার কম হয় তাহলেই তাকে পারসিরা গরিব মনে করেন।

বুধবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

অবন্তিকা, প্রিয়াংকা বড়ুয়া, চিত্রাঙ্গদা দেব : প্রজাপতি প্রজন্মের নারী

এই নামগুলো আমার কবিতায় প্রায়ই আসছে কেন তা জানতে চেয়েছেন কেউ-কেউ। 
এনারা আমার প্রেমিকা ।
এনারা সবাই প্রজাপতি প্রজন্মের নারী।

মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

পরিবর্তন-এর হাইকু

সরকারি চেয়ার
পাছার চরিত্র
পালটায়

সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

কবি অরবিন্দকৃষ্ণ মেহরোত্রা

কবি অরবিন্দকৃষ্ণ মেহরোত্রা ইংরেজিতে লেখেন। বহুকাল পর তাঁর কবিতার বই প্রকাশিত হল। তিনি এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষার অধ্যাপক। এই বছর অবসর নিলেন । সত্তর দশকে তিনি একটি কবিতা লিখেছিলেন । কবিতাটির নাম 'প্রার্থনা' । উৎসর্গ করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী আর মলয় রায়চৌধুরীকে। মিচিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির এশিয়ান স্টাডিজ সেন্টারে কবিতাটির পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত।  কবিতাটি আবার পড়ে মনে হল ১৯৭০ সালে ভারতবর্ষের যেমন ছবি তাঁর সামনে ছিল তা থেকে বিশেষ বদলায়নি, বরং আরও খারাপ হয়ে চলেছে গরিব মানুষদের ক্ষেত্রে। কবিরা কিন্তু আর এরকম কবিতা লেখেন না । মনে হয় এখনকার কবিরা ভারতীয় সমাজের বাইরে বসবাস করেন। আমি সম্পূর্ণ কবিতাটি এখানে তুলেদিলুম:-
A Prayer
by Aravind Krishna Mehrotra
( Dedicated to Indira Gandhi & Malay Roychoudhury )

O Bharatmata
O Socialist Mother India
O Bright Star
O Land of the Peacock & the Lion
    Land of the Brahmaputra & the Himalaya
    of the brave Jawahar
    of the mighty Gandhi
Homage to thee

India
my beloved country, ah my motherland
you are , in the world's slum
the lavatory

the septik tank where in paper gutters
fall the
marksroubledollaryenlirasfrancs
yet our stomachs remain sirens
tooting pathetic messages

I am so used to your cities with a
chain reaction of suburbs
where whole families live in bathrooms
and generations are pushed out of skylights
and the next one sticks out its head
like a tapeworm through frozen shit,
used to the village reduced to a bone
and then swallowed.
I am used to seeing pot-bellied children
ride the dog with jockey's confidence,
used to the old man pick the nose
in prayer-like concentration,
used to
          a hand
          rag like
          wiping the
          mouse like
          car
          with a leaf
          outside
          Industry House.

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

একাকীত্বের আনন্দ

আজকাল একাকীত্বের আনন্দ উপভোগ করছি। একেই কি লাইটনেস অফ বিইং বলব ? বেশ ভালো লাগছে একা থাকতে।

মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আলফা মেল কবিতার রসশাস্ত্র

যে রসগুলো আলফা মেল কবিতায় আসছে সেগুলোর কয়েকটা :
১) টেসটোসটেরন
২) ডোপামাইন
৩) গাবা
৪) সেরোটোনিন
৫) অক্সিটোসিন
৬) অ্যাসেটিলকোলাইন
৭) অ্যাড্রেনালিন

রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১২

আলফা মেল পোয়েট্রি ( Alpha Male Poetry )

২০০৪ সালের পর থেকে আমি যে কবিতা লেখা আরম্ভ করেছি তাকে জনৈক আলোচক বলেছেন 'আলফা মেল পোয়েট্রি' ; আমি এই অভিধাটি মেনে নিয়েছি। তার কারণ হাংরি মকদ্দমায় শৈলেশ্বর ঘোষ ও সুভাষ ঘোষ আমার বিরুদ্ধে কোর্টে রাজসাক্ষী হবার পর আমার সঙ্গে তাঁদের পার্থক্য বেশ স্পষ্ট হয়ে পড়ে। তাঁরা যাঁদের সঙ্গী করে ক্ষুধার্ত নামে আন্দোলন শুরু করেন তাঁদের কাউকেই আমি চিনি না; তাঁরা প্রায় সকলেই ছিলেন সিপিএম-এর পতাকাবাহক। প্রতিষ্ঠানবিরোধীতা আর সরকারি দলের ধামাধরা হওয়া ব্যাপারটা আমার ভাবনার সাথে খাপ খায়নি। এই দুজনের যোগাড়যন্তরে প্রকাশিত কোনো 'হাংরি জেনারেশন সংকলন'-এ তাই আমার রচনা নেই।

           হাংরি আন্দোলনের পরবর্তী পর্যায়ে আমি যে-কবিতা লিখেছি তা 'অধুনান্তিক'; অর্থাৎ অধুনান্তিক পাঠবস্তুতে যে উপাদান থাকা প্রয়োজন তা ওই কবিতাগুলোতে রাখার প্রয়াস করেছি। এই পর্বটি ছিল ২০০৪ পর্যন্ত।

          ২০০৪ থেকে আমার কোনো কবিতা ভাবনা নেই। আমি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছি আমার ইন্সটিংক্টের ওপর। 'অবন্তিকা' নামের মেয়েটিকে নিয়ে লেখা কবিতাগুলো পড়লে টের পাওয়া যাবে আমি কী বলতে চাইছি। আমার একান্ত পাঠিকা নয়নিমা শোম বলেছেন এগুলোর কবিকে 'প্রিডেটর' মনে হয়। তাঁর কথাটি আমার মনে ধরেছে। এই পর্বের কবিতায় একজন আলফা মেলকে (Alpha Male ) পাওয়া যাবে। তাই আলোচকদের অনুরোধ করব যে তাঁরা আমার এই পর্বের কবিতাকে যদি বিশেষ নামে চিহ্ণিত করতে চান, তাহলে এই নামেই ( Alpha Male Poetry ) গ্রহণ করুন।

বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১২

মর মুখপুড়ি কবিতাটি সম্পর্কে

সাহিত্য কাফের সাইটে আমার কবিতা 'মর মুখপুড়ি' প্রকাশিত হবার পর পাঠকদের তুলনায় পাঠিকাদের প্রতিক্রিয়াই বেশি পাচ্ছি। অনেকে সাইটে মন্তব্য লিখেছেন। নয়নিমা শোম নামে এক তরুণী ফেসবুকে জানিয়েছেন যে তিনি কবিতাটি অনুবাদ করতে চান। তাঁর কথাগুলো পড়তে বেশ লাগল, তাই এই রোজনামচায় সংগ্রহ করে রাখছি। নয়নিমা কয়েক লাইন উপরোক্ত সাইটেও লিখেছেন দেখলুম। তাঁর সম্পূর্ণ বক্তব্য, ইংরেজিতে, এরকম:
I am startled by Mor Mukhpuri and somehow scared of you as well. You reside in some other dangerously irresponsible world, where creativity and sensitivity comes perhaps at the cost of social acceptance. I very much look forward to translating the poem. It is one of the best I ever read, and I am hugely underqualified to translate it. I will come up with a pseudonym for the translation, if am successful at all, for frankly, you scare me out of my wits. I will never be able to give up so much for so much more. And let me say I feel threatened by you and revere you at the same time. If you agree to my identity being kept a secret, I will put in my best efforts towards this. It might just be the best and the most dangerous thing I've ever committed myself to. But am a coward and I will never be able to cross the borders of anonymity with you Sir. Thank you Sir and bless me with courage, now and for always.

নয়নিমা শোম-এর প্রকৃত নাম আমি জানি না। তাঁর দাকনাম বনি, এটুকি জানি ।ফেসবুকে তিনি একটি ইংরেজি ছদ্মনামের আশ্রয় নিয়েছেন।
কবিতাটি সম্পর্কে আরও কয়েকজন পাঠিকার মন্তব্য ওই সাইট থেকে তুলে এনেছি:
নয়নতারা দাশ: I fully agree with Nayanima Shome. Malay Roychoudhury resides in a poetic world which attracts women readers like me for an uncharted journey, a prohibited world, a world where visions are being seen and shown to trap the reader in a whirlwind ( Ratnadipa De Ghosh calls it LIFE FORCE ) of sexual underworld. He is probably the most powerful visionary poet in Bengali language of our time. Asadharon, Durdanto are not sufficient expressions. I salute you, Sir, Moloyda.


মৌ মধুবন্তী: মলয়দা তোমার কবিতা মানেই লেন থেকে লেনে ঘোরাতে থাকো পাঠকের মনপবনকে। এই কবিতায় কী নেই তাই ভাবছি। প্রেমের কবিতাও এলেজি হতে পারে। অপ্রেম বলে কিছু নেই। তাই কবিতাটি ওয়াইনহাউজের প্রকৃতিতে অনেক জীবনের চিত্র রেখে গেল।


কাকলি মুখার্জি: কবিতাটিতে প্রথম থেকে দাদাইস্টদের ভঙ্গীমায় যে চিত্রগুলো এসেছে সেই সময়ের সাথে আমার পরিচয় খুব কম তবে এই সমাজের সঙ্কটগুলির সাথে আমি পরিচিত। তাই জীবনের নশ্বর গতির মাঝে কবি যখন অকপটে শেষ পরিচিত নারীটিকে ভুলে গেছেন বলে স্বীকারক্তি দিলেন অভিভূত না হয়ে পারলাম না। কবিতাটির প্লট ওয়াইনহাউজ। তাই গায়ক কবি রমণী অনেককেই তিনি এনেছেন অতি সহজে। লিখলেন অপ্রেমের ইজেলে গভীর প্রেমের কবিতা। চিরাচরিত অভ্যাসে ক্লান্তি। অজানারা ছাড়া আর কিছু জানবার জানাবার বাকি নেই। তবুও আই মিস ইউ। অসাধারণ কবিতা।