রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১২

আলফা মেল পোয়েট্রি ( Alpha Male Poetry )

২০০৪ সালের পর থেকে আমি যে কবিতা লেখা আরম্ভ করেছি তাকে জনৈক আলোচক বলেছেন 'আলফা মেল পোয়েট্রি' ; আমি এই অভিধাটি মেনে নিয়েছি। তার কারণ হাংরি মকদ্দমায় শৈলেশ্বর ঘোষ ও সুভাষ ঘোষ আমার বিরুদ্ধে কোর্টে রাজসাক্ষী হবার পর আমার সঙ্গে তাঁদের পার্থক্য বেশ স্পষ্ট হয়ে পড়ে। তাঁরা যাঁদের সঙ্গী করে ক্ষুধার্ত নামে আন্দোলন শুরু করেন তাঁদের কাউকেই আমি চিনি না; তাঁরা প্রায় সকলেই ছিলেন সিপিএম-এর পতাকাবাহক। প্রতিষ্ঠানবিরোধীতা আর সরকারি দলের ধামাধরা হওয়া ব্যাপারটা আমার ভাবনার সাথে খাপ খায়নি। এই দুজনের যোগাড়যন্তরে প্রকাশিত কোনো 'হাংরি জেনারেশন সংকলন'-এ তাই আমার রচনা নেই।

           হাংরি আন্দোলনের পরবর্তী পর্যায়ে আমি যে-কবিতা লিখেছি তা 'অধুনান্তিক'; অর্থাৎ অধুনান্তিক পাঠবস্তুতে যে উপাদান থাকা প্রয়োজন তা ওই কবিতাগুলোতে রাখার প্রয়াস করেছি। এই পর্বটি ছিল ২০০৪ পর্যন্ত।

          ২০০৪ থেকে আমার কোনো কবিতা ভাবনা নেই। আমি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছি আমার ইন্সটিংক্টের ওপর। 'অবন্তিকা' নামের মেয়েটিকে নিয়ে লেখা কবিতাগুলো পড়লে টের পাওয়া যাবে আমি কী বলতে চাইছি। আমার একান্ত পাঠিকা নয়নিমা শোম বলেছেন এগুলোর কবিকে 'প্রিডেটর' মনে হয়। তাঁর কথাটি আমার মনে ধরেছে। এই পর্বের কবিতায় একজন আলফা মেলকে (Alpha Male ) পাওয়া যাবে। তাই আলোচকদের অনুরোধ করব যে তাঁরা আমার এই পর্বের কবিতাকে যদি বিশেষ নামে চিহ্ণিত করতে চান, তাহলে এই নামেই ( Alpha Male Poetry ) গ্রহণ করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন