বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

প্রথম দিন

এবার ব্লগের আকারে একটা রোজনামচা লিখব মনস্হ করেছি। এর আগে দু'বার ডাইরি লেখার তোড়জোড় করেছিলুম; দু'বারই গোলমাল হয়ে গিয়েছিল। প্রথমবার ডাইরিটা হাংরি আন্দোলনের সময়ে পুলিস বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছিল; তা আর লালবাজারের মালখানা থেকে নেওয়া হয়নি। নেবার অনেক ফ্যাচাঙ।খরচও। দ্বিতীয়বার লখনউ থাকতে লেখা আরম্ভ করি, কিন্তু তা আমার জীবনের ঘটনাবলী নিয়ে এমন বিস্ফোরক আকার নিয়ে ফেলেছিল যে পুড়িয়ে নষ্ট করে দিতে হয়েছিল। এখন প্রতি বছর নতুন ডাইরি পাই, কোনো কাজে লাগে না, কেননা আঙুলে আরথারাইটিস। ইনটারনেটে এক আঙুলে কাজ চালাই; তাই যতদিন এই এক আঙুলে কাজ চলছে ততদিন একটা রোজনামচা লেখা যেতে পারে।
রোজনামচা লেখার আইডিয়াটা এলো ফেসবুক থেকে। ফেসবুকে অনেকে অনেক কিছু লিখছেন আমায়, আমার মতামত চাইছেন, চ্যাটিং করছেন। বেশ লাগছে। তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে লেখার ইচ্ছা হল। তাছাড়া মগজে নানা বিদকুটে ভাবনা চলতে থাকে, সেগুলোও লেখা যাবে। রাতে যখন ঘুম আসে না তখন কতরকম চিন্তা আর স্মৃতি চলে আসে, সেগুলো ঢোকানো যাবে।
ইনটারনেট এমন জায়গা যে যার ইচ্ছা হবে, যে খুঁজে পাবে, সেই দেখবে। ইশারায় লেখার প্রয়োজন হবে না বা লুকোবার দরকার হবে না।
অবশ্য এখন, এই মুহূর্তে, যেহেতু সিঙ্গল মল্ট খাচ্ছি, তাই এই পর্যন্ত লিখলুম। একটু পরে নেশাটা শরীরে ছড়ালে, যদি মনে কিছু আসে তখন লেখা আরম্ভ করব।তবে নেশার মৌতাতে যাঁর কথা মনে পড়ছে, তিনি আমার প্রথম শিক্ষিকা সিস্টার আইরিন, সেন্ট জোসেফ কনভেন্টের ক্লাস টিচার।
যাঁরা আমায় পড়বেন তাঁরা কিঞ্চিদধিক মন্তব্য ফেলে যাবেন বলে মনে হয়।ইনটারঅ্যাকটিভ রোজনামচা হয়ে উঠবে তাহলে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন