বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

নেপালে ষাটের দশকে, হাংরি আন্দোলনের সময়ে

নেপালে আমরা গিয়েছিলুম নেপালি সাহিত্য একাডেমির ডায়রেক্টর বাসি শশীর আমন্ত্রণে। আমি, সুবিমল বসাক, করুণানিধান মুখোপাধ্যায়, অনিল করঞ্জাই, কাঞ্চন মুখোপাধ্যায় আর দাদা সমীর রায়চৌধুরী। সাহিত্য-চর্চার পরিবর্তে আমরা নেপালের স্হানীয় মাদক আর মদ খাওয়ায় সময় কাটাতাম বেশি। আমার সঙ্গে পারিজাত নামে একজন তরুণী কবির ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। সুবিমলের সঙ্গে এক নেপালি চিত্রাভিনেত্রীর, যার ব্লাউজে সাইকেডেলিক রঙ করে দিত করুণা আর অনিল।আমরা নানা রকমের মাদক ট্রাই করেছিলুম, কেননা নেপালে তখন আমেরিকা, ইউরোপ , জাপান দক্ষিণ কোরিয়া থেকে হিপিরা এসে জুটেছিল।সে এক অবিস্মরণীয় মাদকতা আর যৌনতার দিন ছিল।কোনো প্রকার নিষেধ ছিল না।করুণার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এক কৃষ্ণাঙ্গী তরুণীর যিনি ছবি আঁকতেন। ওদের ছবির একটা প্রদর্শনীও হয়েছিল। শেষদিনে, যে ছবিগুলো বিক্রি হয়নি সেগুলো পুড়িয়ে ছাই করে ফেলা হয়েছিল।অনিল, করুণা আর কাঞ্চন পরে নকশাল আন্দোলনের দিকে ঝোঁকে। কেউ আর বেঁচে আছে কিনা জানি না। অনিল মারা যাবার পর ওর লিভ-টুগেদার বান্ধবী মার্গারেট রেনল্ডস 'হাওয়া৪৯' এর একটা অনিল করঞ্জাই সংখ্যা প্রকাশে সাহায্য করেছিলেন।সেই সব দিনগুলোর কথা লিখে রাখলে ভালো হত। আমাদের কার্যকলাপ নিয়ে নেপালের সংবাদপত্রে ফলাও করে খবর বেরোত, ছবি-টবি দিয়ে। এখানে সেরকম একটা ছবি যুক্ত করলুম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন