শনিবার, ২২ মে, ২০২১

চার্লস বুকোস্কির কবিতা : অনুবাদ -- মলয় রায়চৌধুরী

চার্লস বুকোস্কির কবিতা : অনুবাদ মলয় রায়চৌধুরী

প্রেম ও খ্যাতি ও মৃত্যু

এটা আমার জানালার বাইরে বসে থাকে

বাজারে যাচ্ছে এমন এক বুড়ির মতন ;

এটা বসে থাকে আর আমার দিকে লক্ষ রাখে,

ভয়ে গলদঘর্ম হয়

তারের আর কুয়াশার আর কুকুরের ডাকের ভেতর দিয়ে

যখন হঠাৎই

আমি দৃশ্যটা খবরের কাগজ দিয়ে বন্ধ করে দিই

মাছি মারার মতন করে

আর তুমি শুনতে পাবে কাতরানির চিৎকার

মামুলি শহরের ওপর দিয়ে,

আর তারপর সেটা চলে যায় ।

একটা কবিতাকে শেষ করার উপায় ইসাবে

এরকমভাবে

হঠাৎই একেবারে

চুপ মেরে যাওয়া


আর চড়ুইপাখিটা

জীবন দিতে হলে তোমাকে জীবন নিতে হবে

আর যেমন-যেমন আমাদের শোক ফালতু হয় আর ফাঁকা

লক্ষকোটি রক্তাক্ত সমুদ্রের ওপরে

আমি ভেতরের দিকে ভেঙে-পড়া মাছের গম্ভীর ঝাঁক পাশ কাটাই

শাদা-পা, শাদা-পেট, পচন্ত প্রাণীদের

দীর্ঘকাল মৃত আর চারিপাশের দৃশ্যের সঙ্গে দাঙ্গার সঙ্গে যুঝে চলেছে ।


প্রিয় খোকা, আমি তোমার সঙ্গে তা-ই করেছি যা চড়ুইপাখি

তোমার সঙ্গে করেছিল ; আমি তো বুড়ো যখন কিনা এটা বাজারচালু

যুবক হয়ে ওঠা ; আমি কাঁদি যখন কিনা হাসা হলো চলন ।


আমি তোমাকে ঘেন্না করতুম যখন কম সাহসেই 

ভালোবাসা যেতো ।

আমার ৪৩তম জন্মদিনের জন্য কবিতা

একাই শেষ হয়ে যাওয়া

একটা ঘরের কবরে

বিনা সিগারেটে

কিংবা মদে--

ঠিক বিজলিবাল্বের মতন

আর ফোলা পেট নিয়ে,

ধূসর চুল,

আর সকালবেলায়

ফাঁকা ঘর পাবার জন্য

বেশ আহ্লাদিত 

ওরা সবাই বাইরে

টাকা রোজগারের ধান্দায় :

জজসাহেবেরা, ছুতোরেরা,

কলের মিস্ত্রিরা, ডাক্তাররা,

খবরের কাগজের লোকেরা, ডাক্তাররা,

নাপিতেরা, মোটরগাড়ি যারা ধোয় তারা, 

দাঁতের ডাক্তাররা, ফুলবিক্রেতারা,

তরুণীবেয়ারারা, রাঁধিয়েরা,

ট্যাক্সিচালকেরা 


আর তুমি পালটি খাও

তোমার বাঁদিকে

রোদের তাপ পাবার জন্য

পিঠের দিকে

আর তোমার 

চাউনির বাইরে ।


অন্ধকারকে যুদ্ধে আহ্বান

চোখে গুলি মারা

মগজে গুলি মারা

পোঁদে গুলি মারা

নাচে ফুলের মতন গুলি মারা


অদ্ভুত কেমন করে মৃত্যু বেমালুম জিতে যায়

অদ্ভুত যে জীবনের মূর্খ আদরাকে কতো গুরুত্ব দেয়া হয়


অদ্ভুত যে হাসাহাসিকে কেমন করে চুবিয়ে দেয়া হয়

অদ্ভুত যে বদমেজাজ কেমন একটা ধ্রুবক


ওদের যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমাকে তাড়াতাড়ি যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে

আমাকে আমার শেষ জমির টুকরো পর্যন্ত দখলে রাখতে হবে

আমাকে আমার ছোট্ট পরিসরটুকু রক্ষা করতে হবে যা আমি গড়েছি যা আমার জীবন


আমার জীবন ওদের মৃত্যু নয়

আমার মৃত্যু ওদের মৃত্যু নয়


এইসব ব্যাপার

এইসব ব্যাপার যা আমরা ভালোভাবে সমর্থন করি

আমাদের সঙ্গে তাদের কিছুই করার নেই,

আর আমরা সেগুলো নিয়ে যা করি

অবসাদ বা ভয় বা টাকার জন্য

কিংবা ফাটলধরা বুদ্ধির জন্য ;

আমাদের ঘেরাটোপ আর আমাদের মোমবাতির আলো

কম হওয়ায়,

এতোই ছোটো যে আমরা তার ভার বইতে পারি না,

আমরা ধারনার জাল ফুলোই

আর কেন্দ্রটাকে হারিয়ে ফেলি :

সবই পলতে ছাড়া মোমের বাতি

আর আমরা দেখি সেই সব নাম যা এককালে

মনে হতো জ্ঞান,

ভুতুড়ে শহরের পথনির্দেশের মতন

আর কেবল কবরগুলোই আসল ।


তাহলে এখন ?

শব্দগুলো এসে ফেরত চলে গেছে,

আমি অসুস্হ হয়ে বসে আছি ।

টেলিফোন বেজে ওঠে, বিড়ালটা ঘুমিয়ে ।

লিণ্ডা ভ্যাকুয়াম চালিয়ে সাফাই করছে ।

আমি বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা করছি,

মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি ।

ইচ্ছে করে কিছুটা সাহস যোগাড় করি ।

ব্যাপারটা যাচ্ছেতাই

কিন্তু বাইরের গাছটা জানে না :

আমি তাকে বাতাসের তালে দুলতে দেখছি

পড়ন্ত দুপুরের রোদে ।

এখানে ঘোষণা করার মতো কিছুই নেই,

কেবল অপেক্ষা ।

সবাই এটার একা মুখোমুখি হয় ।

ওহ, এককালে আমি যুবক ছিলুম,

ওহ, এককালে আমি অবিশ্বাস্যরকম

যুবক ছিলুম !


ফাঁদে আটক

শীতের সময়ে আমার

ছাদে আমার চোখদুটো রাস্তার আলোর

মাপের ।

ইঁদুরের মতন আমার চারটে পা কিন্তু

নিজের জাঙিয়ে-দাড়িয়াল ধুই আর

ঝুলিয়ে দিই আর লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যায় আর কোনো উকিল নেই।

আমার

মুখখানা একটা ধোয়া কাঁথার মতন ।

আমি  গাই

প্রেমের গান আর বইতে থাকি ইস্পাত ।

আমি বরং মরে যাবো কিন্তু কাঁদবো না ।

আমি বরদাস্ত করতে পারি না

হাউণ্ডগুলোকে তাদের ছাড়া টিকে থাকতে পারি না ।

আমি শাদা রেফরিজারেটারে 

আমার মাথা টিকিয়ে রাখি আর চেঁচাতে চাই

জীবনের শেষ কান্নার মতন চিরতরে কিন্তু

আমি পাহাড়ের চেয়েও বিশাল ।


আর চাঁদ আর নক্ষত্রেরা আর জগতসংসার

রাতের অনেকক্ষণের পায়চারি--

আত্মার জন্য তাই ভালো : 

জানালার ভেতর দিয়ে উঁকি মারা

ক্লান্ত বউদের দেখা

তাদের বিয়ারটানা পাগল স্বামীদের সঙ্গে

যোঝবার চেষ্টা করছে ।


ভাগ্য

এককালে

আমরা  কমবয়সী ছিলুম

এই যন্ত্রটায় ।

মদ খেতুম

ফুঁকতুম

টাইপ করতুম

তা ছিল সবচেয়ে

গুলজার

অলৌকিক

সময়

স্হির

হয়ে আছে

কেবল এখন

সময়ের দিকে

এগিয়ে যাবার 

বদলে 

তা 

এগিয়ে এসেছিল

আমাদের পানে

প্রতিটি শব্দ দিয়ে

ছ্যাঁদা করেছে

কাগজে

সুস্পষ্ট

তাড়াতাড়ি

কঠিনভাবে

খাইয়েছে একটা

ফুরিয়ে আসা

পরিসর ।

কারণ ও প্রভাব

যারা শ্রেষ্ঠ তারা সাধারণত নিজের হাতে মারা যায়

স্রেফ কেটে পড়ার জন্য,

আর যারা পেছনে থেকে গেল

কখনও বুঝতে পারে না

কেন কেউ

কখনও চাইবে

কেটে পড়তে

তাদের 

কাছ থেকে


একজন প্রতিভাবানের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল

একজন প্রতিভাবানের সঙ্গে আমার ট্রেনে দেখা হয়েছিল

আজকে

বছর ছয়েক বয়সের,

ছেলেটা আমার পাশে বসল

আর যখন ট্রেনটা

তীরের পাশ দিয়ে গেল

আমরা সমুদ্রের কাছে পৌঁছোলুম

আর তারপর ছেলেটা আমার দিকে তাকালো

আর বলল,

এটা সুন্দর নয় ।

সেই প্রথমবার

ব্যাপারটা আমি

টের পেলুম ।


এটা আমাদের

ওখানে সব সময় একটা পরিসর থাকে

আমাদের কাছে তারা পৌঁছোবার আগে

ওই পরিসর

ওই পরম আরাম

শ্বাস নেবার

ধরুন

কোনো বিছানায় চিৎপটাঙ শুয়ে

কিচ্ছু চিন্তা না করে

কিংবা ধরুন

কল

থেকে এক গ্লাস জল ঢেলে

কোনোকিছু দিয়ে

মোহাবিষ্ট না হয়ে

সেই

নরম বিশুদ্ধ

পরিসর

তা বহু শতকের

অস্তিত্বের

সমমূল্য

ধরুন

কেবল আপনার গলা চুলকোবার জন্য

জানালার বাইরে দেখার সময়ে

একটা ফুলপাতাহীন গাছের ডালকে

ওই পরিসর

ওইখানে

আমাদের কাছে তারা পৌঁছোবার আগে

নিশ্চিত করে

যে 

যখন তারা করবে

তারা পাবে না

কিছুই

কখনও ।


সমাপ্তি

আমরা গোলাপের মতন যা কখনও ফুটে ওঠার পরোয়া করেনি

যখন আমাদের ফুটে ওঠার সময় ছিল আর

তা যেন এমন যে

সূর্য বিরক্ত হয়ে গেছে

অপেক্ষা করে


জেন-এর জন্য

ঘাসের তলায় ২২৫ দিন

আর তুমি আমার থেকে বেশি জানো ।


বহু আগে ওরা তোমার রক্ত নিয়ে গাছে,

তুমি একটা চুবড়িতে শুকনো কাঠি ।


ব্যাপারটা কি এইভাবেই কাজ করে ?


এই ঘরে


ভালোবাসাবাসির সময়

তবুও ছায়াপাত ঘটায় ।


যখন তুমি চলে গেলে

তুমি নিয়ে গেলে

প্রায় সবকিছুই ।


রাতের বেলায় আমি হাঁটুগেড়ে বসি


বাঘগুলোর সামনে

যা আমাকে নিজের মতো থাকতে দেবে না ।


তুমি যা ছিলে

তা আবার হবে না ।


বাঘগুলো আমাকে খুঁজে পেয়েছে

আর আমি পরোয়া করি না ।


যেমন হাজার কবিতা গড়ে উঠতে থাকে তুমি

টের পাও সৃষ্টি করেছ কেবল

যৎসামান্য ।


তা বৃষ্টির সঙ্গে আসে, রোদের সঙ্গে

যানবাহনের সঙ্গে, বছরের 

রাত আর দিনগুলো, মুখগুলো ।


বেঁচে থাকার চেয়ে  ছেড়ে যাওয়া সহজ হবে

একে, আরেকটা লাইন টাইপ করা এখন যেন

একজন মানুষ রেডিও দিয়ে পিয়ানো বাজাচ্ছে,


শ্রেষ্ঠ লেখকরা বলেছেন অত্যন্ত

কম


আর সবচেয়ে খারাপরা,

বড়ো বেশি ।


হিসেব নিকেশ

ভ্যান গঘ নিজের কান কেটে ফেললেন

সেটা দিলেন এক

বেশ্যাকে

যে সেটা ছুঁড়ে ফেলে দিলো

নিদারুণ

বিতৃষ্ণায় ।


ভ্যান, বেশ্যারা চায় না

কান


তারা চায়

টাকাকড়ি ।


আমার মনে হয় সেই জন্যই তুমি

অমন এক মহান

চিত্রকর ছিলে : তুমি

বুঝতে পারোনি

তাছাড়া

অন্যকিছু ।


আমার সঙ্গে দোল খাও

আমার সঙ্গে দোল খাও, যা-কিছুই দুঃখি--

পাথরের বাড়িতে উন্মাদের দল

দরোজাহীন,

কামার্ত আর গান গাইছে কুষ্ঠরোগীরা

ব্যাঙরা বোঝার চেষ্টা করছে

আকাশকে ;

আমার সঙ্গে দোল খাও, দুঃখি ব্যাপারেরা--

কামারের হাপরে টুকরো আঙুলগুলো

সকালের খাবারের মতন বুড়ো বয়স

ব্যবহার-করা বই, ব্যবহার-করা মানুষ

ব্যাবহার-করা ফুল, ব্যবহার-করা প্রেম

তোমাদের আমার দরকার

তোমাদের আমার দরকার

তোমাদের আমার দরকার :

তা পালিয়েছে

একটা ঘোড়া বা কুকুরের মতন,

মারা গেছে বা হারিয়ে গেছে

কিংবা ক্ষমাহীন ।


কবিতা

এটা

নেয়

বেশ খানিকটা

মরিয়া-ভাব

অতৃপ্তি

আর

স্বপ্নভঙ্গ

যাতে

কয়েকটা

ভালো 

কবিতা

লেখা যায় ।

এটা তেমন নয়

সকলের

জন্য

হয়তোবা 

তা 

লেখা

কিংবা এমনকি

তা 

পড়ে 

ফেলা ।


ফাঁদে পড়ে

আমার প্রেমকে পোশাকহীন কোরো না

হয়তো তুমি পাবে একটা ম্যানেকুইন :

ম্যানেকুইনের পোশাক খুলো না

হয়তো তুমি খুঁজে পাবে

আমার ভালোবাসা ।


মেয়েটি বহুকাল আগে

আমাকে ভুলে গেছে ।


মেয়েটি নতুন একটা হ্যাট

যাচাই করে দেখছে

আর দেখতে লাগছে আরও বেশি

ছিনাল

আগের থেকেও ।


মেয়েটি একটি

খুকি

আর একটি ম্যানেকুইন

আর মৃত্যু ।

আমি সেটা

ঘৃণা করতে পারি না ।


ও তো

কোনোকিছুই 

অস্বাভাবিক করেনি ।


আমি ওকে চেয়েছিলুম

শুধু ।

৮ গণনা

আমার বিছানা থেকে

আমি দেখি

৩টে পাখি

টেলিফোনের

তারের ওপরে ।


একটা চলে যায়

উড়ে ।


তারপর

আরেকটা ।


বাকি থাকে একটা,

তারপর


সেটাও

চলে যায় ।


আমার টাইপরাইটার

সমাধিপাথর

তবুও ।


আর আমি

পাখিতে অবনমিত

দেখতে থাকি ।


এক্ষুনি ভাবলুম

তোমাকে

জানাবো

বাঞ্চোৎ ।


বৃষ্টি কিংবা রোদ

চিড়িয়াখানায় শকুনগুলো

( তিনটেই )

বেশ চুপচাপ বসে থাকে তাদের

খাঁচাঘেরা গাছে

আর তলায়

মাটিতে

পচা মাংসের টুকরো ।


শকুনগুলোর পেট ভরে গেছে ।


আমরা যে কর দিই তা ওদের খাইয়েছে

পেট পুরে ।


আমরা পরের খাঁচার দিকে

এগোই ।


তার ভেতরে একজন মানুষ

মাটিতে বসে

নিজের গু

খাচ্ছে ।


আমি ওকে চিনতে পারি

আমাদের আগেকার ডাকপিওন ।


ওর প্রিয় অভিব্যক্তি

ছিল :

“দিনটা তোমার ভালো কাটুক ।


“ 

সেদিনটা আমি তাই-ই করলুম ।


বৌদ্ধদের আগুনে আত্মহত্যা সম্পর্কে

“ওরা কেবল নিজেদের পোড়ায় স্বর্গে যাবার জন্য”

--মন ন্যু

মৌলিক সাহস ভালো,

চুলোয় যাক প্রেরণা,

আর যদি তুমি বলো যে ওদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে

যাতনা অনুভব না করার,

ওরা কি

এর গারেন্টি দিয়েছিল ?

এটা কি তবু সম্ভব নয় 

অন্য কিছুর জন্য মারা যাওয়া ?

তোমরা সংস্কৃতিসম্পন্নরা

আরাম করো আর

ব্যাখ্যার বয়ান দাও,


আমি লাল গোলাপকে জ্বলতে দেখেছি

আর তার গুরুত্ব অনেক বেশি ।

দুর্বলরা পৃথিবীর মালিক হবে

যদি আমাকে ভুগতে হয়

এই টাইপরাইটারে

ভেবে দ্যাখো আমি কেমন অনুভব করব

সালিনার লেটুশ

তুলিয়েদের মাঝে ?

আমি সেই মানুষগুলোর কথা ভাবি

যাদের আমি জেছি

ফ্যাক্ট্রিগুলোতে

বাইরে বেরোবার

কোনো উপায় নেই

বেঁচে থাকতে শ্বাসরুদ্ধ

হাসার সময়ে শ্বাসরুদ্ধ

বব হোপ কিংবা লুসিল

বল-এ যখন কিনা

২ বা ৩ বাচ্চা দেয়ালে

টেনিস বল ঠোকে ।


কোনো কোনো আত্মহত্যা কখনও

নথিভূক্ত হয় না ।


সংক্ষিপ্ত আদেশ

মেয়েটি বলল

তোমার বিগত কবিতাপাঠে আমি আমার মেয়েবন্ধুকে নিয়ে গিয়েছিলুম ।


হ্যাঁ, হ্যাঁ ? আমি জিগ্যেস করলুম ।

ওর বয়স কম আর সুন্দরী, মেয়েটি বলল ।


আর ? আমি জানতে চাইলুম ।


তোমার তেজকে ও

ঘৃণা করে ।


তারপর মেয়েটি কাউচে আরাম করে বসল


আর খুলে ফেলল নিজের

বুটজুতো ।


আমার পা দুটো সুন্দর নয়,

বলল মেয়েটি ।


ঠিকই আছে, আমি ভাবলুম, আমারও তেমন ভালো


কবিতা নেই ; ওর তেমন ভালো

পা নেই ।


দুটো হামাগুড়ি ।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন